শেষ দুই ওভারে দরকার ২৬ রান। শ্রীলঙ্কার সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স বিবেচনায় এটি নেওয়া কঠিনই বটে। তবে কলম্বোর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে শেষ বলের নাটকীয়তায় থ্রিলার ম্যাচটি জিতে নিয়েছে লঙ্কানরাই।
১৯তম ওভারে ১২ রান নেওয়ার সুবাদে শেষ ওভারে লঙ্কানদের প্রয়োজন ১৪ রান। স্ট্রাইকে তখন তিন বছর পর দলে ফেলা অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউজ। যে কারণে ম্যাচ জেতা নিয়ে কিছুটা শঙ্কায় পড়ে গিয়েছিল স্বাগতিকরা। যদিও তখন ম্যাথিউজ পিচে সেট হয়েই ব্যাট করছেন। দলের কঠিন সময়ে নিজের অভিজ্ঞতার প্রমাণই দিলেন তিনি। মুজারাবানির প্রথম দুই বলে দুটি বাউন্ডারি হাঁকালেন এই ডানহাতি ব্যাটার।
তবে তৃতীয় বল থেকে কোনো রান বের করতে পারলেন না ম্যাথিউজ। পরের বলে মাসাকাজার হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে সাজঘরেই ফিরলেন তিনি। ফলে আবার খাদের কিনারায় লঙ্কানরা। শেষ দুই বলে লঙ্কানদের দরকার ৬ রান।
ওভারের পঞ্চম বলে চার হাঁকালেন দুশমন্হ চামিরা। শেষ বলে দরকার ২ রান। আকাশে ভাসিয়ে মারলেন চামিরা। তবে নিরাপদ ভাবেই মিডউইকেট অঞ্চলে গিয়ে পড়লো বলটি। ততক্ষণে দুইবারের জন্য প্রান্ত বদল করলেন চামিরা ও দাসুন শানাকা। ফলে সিরিজে ১-০ তে এগিয়ে গেল শ্রীলঙ্কা।
টস হেরে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৪৩ রান করে জিম্বাবুয়ে। সফরকারীদের হয়ে এই ম্যাচে সর্বোচ্চ ৪২ বলে ৬২ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলেেছেন অধিনায়ক সিকান্দার রাজা। এছাড়া ওপেনার তিনাসে কামুনহুকায়ে করেছেন ১৮ বলে ২৬ রান।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে ৮৩ রানেই ৬ উইকেট হারায় লঙ্কানরা। এরপর দাসুন শানাকা ও ম্যাথিউজের ৫০ রানের জুটিতে জয়ের পথে এগিয়ে যায় তারা। লঙ্কানদের হয়ে সর্বোচ্চ ৩৮ বলে ৪৬ রানের ইনিংস খেলেন ম্যাথিউজ। এছাড়া ১৮ বলে ২৬ রান করেছেন শানাকা। অবশেষে শেষ বলের নাটকীয়তায় ৩ উইকেটে জয় পায় শ্রীলঙ্কা।