পৌরসভার থেকে ৬০০ হাকারকে পুনর্বাসন করা হয়েছিল। তারা প্রত্যেকেই দোকান বিক্রি করে আবারও সড়কে এসেছেন বলে দাবি করেছেন নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভী।
তার ভাষ্য, ২০০৩ সাল থেকে বঙ্গবন্ধু সড়কের হাকার উচ্ছেদ করার চেষ্টা করা হচ্ছে।
নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবে নাগরিক সমস্যা সমাধানে আয়োজিত গোলটেবিল বৈঠকে শনিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে অংশ নিয়ে একথা বলেন তিনি।
হকার ইসু নিয়ে আইভী বলেন, আগে সড়কে একটি সারিতে হকার বসতো। এখন ৩টি সারিতে হকার বসছে।
আইভি আরও বলেন, নারায়ণগঞ্জ শহর থেকে অনুমোদিত বাসই চলতে পারে না। কিন্তু মৌমিতা পরিবহন বাইরে থেকে এসে দুর্দান্ত প্রতাপের সাথে চাষাঢ়ায় বাস রেখে দেবে কেন। রোজার সময়তো ঠিকই যানজট নিয়ন্ত্রণ করে ফেলেন, এখনও সঠিকভাবে কাজ করলে প্রব্লেম থাকবে না।
যানজট নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের দাবি করে মেয়র বলেন, যানজটের জন্য সিটি করপোরেশন বা এমপির ওপর দোষ চাপাতে পারে না। পুলিশের কাছে বৈধ, অবৈধ স্ট্যান্ডের তালিকা দেওয়া হয়েছে। এ সকল স্ট্যান্ডের কোন ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি পুলিশের পক্ষ থেকে।
দেশের কোন শহরে দিনের বেলায় ট্রাক ডোকে না জানিয়ে মেয়র বলেন, শহরে দিনের বেলা ট্রাক নিয়ে একাধিকবার মিটিং হওয়ার পরেও শহরে ট্রাক ঢুকছে।
নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার কথা শুনে না জানিয়ে মেয়র বলেন, সদস্যা গুলোর সমাধানে সংসদ সদস্যরা যেন এসপি ও ডিসিকে বলেন।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক (ডিসি) মাহমুদুল হক, নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য একেএম সেলিম ওসমান, নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার) আমির খসরু, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান চন্দন শীল প্রমুখ।