দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পরাজিত হয়ে তৃণমূল বিএনপির মহাসচিব অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকার বলেন, নির্বাচনে সরকারের বিভিন্ন কেলেঙ্কারি তুলে ধরবো, কী কী হয়েছে সব তুলে ধরবো। পরবর্তী সময়ে আমরা আমদের সিদ্ধান্ত জানাবো। তৃণমূল বিএনপির নামটি এখন বাংলাদেশের মানুষের ঘরে ঘরে। তৃণমূল বিএনপির প্রতীক সোনালী আঁশ বাংলাদেশের ঘরে ঘরে আছে। আমরা রাজনীতি করবো।
সোমবার (৮ জানুয়ারি) বিকেলে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের রূপসীতে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন পরবর্তী সময়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা জানান।
তৈমুর বলেন, আমি আমাদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা শমসের মবিন চৌধুরী বীর বিক্রম এখনও সিলেট আছেন। আমাদের নির্বাহী চেয়ারম্যান অন্তরা হুদা চৌধুরী এখনও তার নির্বাচনী এলাকায় রয়েছেন। আমি গুরুতর অসুস্থ। এমতাবস্থায় আমরা যৌথভাবে আলাপ আলোচনা করে আমরা যৌথ বিবৃতি দিবো। আমাদের অন্যান্য প্রার্থীদের আলোচনা করবো। আমরা ডিটেইলস প্রমাণ পত্রসহ সরকার কিভাবে নির্বাচন করলো প্রমাণ সহ সব তুলে ধরবো।
নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতা প্রসঙ্গে তৈমূর বলেন, চনপাড়ায় শমসের নামে এক ডাকাত রয়েছে। তারা রামরাজত্ব কায়েম করেছে। তাদের অত্যাচারে মানুষ কথা বলতে পারে না। তারা ঘোষণা দিয়েছে নৌকার প্রার্থী ছাড়া আর কোনো প্রচারণা হবে না। জেলা মহিলা দলের প্রচার সম্পাদক আমার নির্বাচন করায় তার বাড়িঘর লুটপাট করেছে। আমি আগেই বলেছিলাম আমাদের নির্বাচন যারা করে তাদের নিরাপত্তা দেয়ার জন্য। সরকার সে নিরাপত্তা দেইনি। শমসের ডাকাতের মামলা মোকদ্দমা নিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনের কাছে বলেছিলাম। কিন্তু এ প্রসঙ্গে কোন ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। চনপাড়ায় আমার কর্মী ফাতেমার বাড়িঘরে হামলা চালানো হয়েছে। তাদের নিয়ে আমি এসপি অফিসে যাবো। আমার পক্ষে নির্বাচন করায় এখন ফাতেমার পরিবার ঘরছাড়া।
প্রসঙ্গত, গত ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জ -১ (রূপগঞ্জ) আসনে তিনি অংশ গ্রহণ করেছিলেন। সেই নির্বাচনে তিনি ভোটের লড়াইয়ে নেমে মাত্র ৩ হাজার ১৯০ ভোট পেয়েছেন। তার সাথে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করে আওয়ামী লীগের প্রার্থী এবং বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী ১ লাখ ৫৬ হাজার ৪৮৩ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন।