তৃণমূল বিএনপিকে যদি নির্বাচন করতে না দেয়, তাহলে সরকারের সফলতা-ব্যর্থতার সব কাহিনী তুলে ধরবেন বলে হুশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন নারায়ণগঞ্জ-১ (রূপগঞ্জ) আসনের তৃণমূল বিএনপির প্রার্থী ও দলটির মহাসচিব অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকার।
তিনি বলেন, সমাজের বিত্তশালীদের প্রার্থী করিনি, আমরা খেটে খাওয়া সাধারণ লোকদের প্রার্থী করেছি। তারা নির্বাচনের খরচ দিতে পারছেনা। তারপরও নির্বাচনের মাঠে জনসম্পৃক্ততা নিয়ে আছি। এরপর যদি সরকার নির্বাচন করতে না দেয়, সরকারের সকল সফলতা-ব্যর্থতার সব কাহিনী তুলে ধরবো।
শুক্রবার (৫ জানুয়ারি) দুপুরে রূপগঞ্জ উপজেলার রূপসীতে তার নিজ বাড়িতে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।
দলের নেতাকর্মীদের হুমকি ধামকি দেওয়া হচ্ছে উল্লেখ করে তৈমুর আলম খন্দকার বলেন, হুমকি ধামকি অনেক দেওয়া হচ্ছে। এসবে আমরা পাত্তা দিচ্ছিনা। উল্টো এসব হুমকিতে আমাদের এজেন্টদের সাহস আরও বেড়েছে। মন্ত্রী গাজীর এক লোক মিছিল থেকে অস্ত্র সহ গ্রেফতার হয়েছে, তার প্রার্থীতা বাতিল হওয়া উচিত ছিল। তিনি মন্ত্রী না হয়ে সাধারণ প্রার্থী হলে তার প্রার্থীতা এতোক্ষণে বাতিল হয়ে যেত।
তৃণমূল বিএনপি একমাত্র বিরোধী দল উল্লেখ করে তৈমুর আলম খন্দকার বলেন, জাতীয় পার্টি এখন কোন স্বাধীন রাজনৈতিক পার্টি না। তারা সরকারের একটা অঙ্গ দল। তারা সরকারী দল। সরকার তাদের যেভাবে নির্দেশনা দিবে তারা সেভাবে করবে। আর আমরা একমাত্র বিরোধী দল মাটি কামড়ে হলেও নির্বাচন করবো। তবে আমাদের প্রার্থীদের ফান্ড দিতে পারছিনা, টাকা দিতে পারছিনা। তার উপরে প্রতিপক্ষের লোকজন নানাভাবে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে।
তৈমুর আলম বিজয়ী হলে আওয়ামী লীগ-বিএনপি শান্তিতে ঘুমতো পারবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, জনগণ মনে করে তৈমুর আলম খন্দকার পাশ করলে রূপগঞ্জের আওয়ামী লীগ বিএনপি সকলে শান্তিতে ঘুমাতে পারবে। এখানে আওয়ামী লীগকে দুই টুকরো করে ফেলেছে। আমি নির্বাচিত হলে আওয়ামী লীগকে দুই টুকরো করবো না, বিএনপিকে টুকরো টুকরো করবো না। আমি নির্বাচিত হলে খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে সংসদে কথা বলবো। আমি নির্বাচিত হলে গায়েবী মামলার বিষয়ে কথা বলবো। গণগ্রেফতার, গণহারে সাজা এসব বন্ধ করাবো। রূপগঞ্জে এখন যে গণগ্রেফতার বন্ধ রয়েছে, এটা আমার জন্য হয়েছে।