ফতুল্লা থানার উত্তর মাসদাইর গাবতলী এলাকায় সন্ত্রাসী হামলার শিকার হয়েছে এরশাদ(২৬) নামের এক যুবক। গত ৭ ফেব্রুয়ারী মঙ্গলবার তাকে নির্মম ভাবে লোহার রড ও পাইপ দিয়ে পিটিয়ে হাত পা ভেঙ্গে একেবারে পঙ্গু করে দিয়েছে সন্ত্রাসীরা। বর্তমানে সে রাজধানীর পঙ্গু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এই ঘটনায় এরশাদের বড় ভাই শাহিন বাদী হয়ে ফতুল্লা থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। এরশাদ গাবতলীর চাঁন মিয়ার বাড়ির ভাড়াটিয়া।
ঘটনার বিবরনে প্রকাশ, স্বশস্ত্র সন্ত্রাসী মেহেদীর নেতৃত্বে সন্ত্রাসীদের ১০/১২ জনের একটি দল এরশাদের উপর হামলা চালায়। এরশাদ পুলিশ লাইন সংলগ্ন সেঞ্চুরী গার্মেন্টস এ কর্মরত ছিলেন। ঘটনার দিন সকাল পৌনে আটটায় গার্মেন্টসে কাজে যাওয়ার পথে চৌধুরী কমপ্লেক্সের সামনে এলে সন্ত্রাসীরা তার পথরোধ করে। এ সময় এরশাদ সন্ত্রাসীদের হাতে দেশীয় অস্ত্রশ্রস্ত্র দেখতে পেয়ে দৌড়ে সেখান থেকে পালানোর চেষ্টা করে। কিন্তু সন্ত্রাসীরা গাবতলী মোড়ে স্থানীয় মেম্বার কামরুল হাসানের বাড়ির সামনে এলে তাকে ধরে ফেলে। সেখানে রাস্তায় ফেলে এলোপাথারি পিটিয়ে তার হাত-পা ভেঙ্গে দেয়। পরে এলাকাবাসী জড়ো হতে থাকলে সন্ত্রাসীরা তাকে ফেলে রেখে বীরদর্পে চলে যায়। পরে তাকে নারায়ণগঞ্জ শহরের খানপুর হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত ডাক্তাররা তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে রাজধানীর পঙ্গু হাসপাতালে পাঠায়। বর্তমানে সে পঙ্গু হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে। গতকাল ঘটনাটি বিস্তরিত জানিয়ে ফতুল্লা থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন তার বড় ভাই শাহিন।
এদিকে, গাবতলী এলাকাটি সিসি ক্যামেরা নিয়ন্ত্রিত হওয়ার পূরো ঘটনাটির সিসি টিভির ফুটেজ রয়েছে। পুলিশ ইচ্ছে করলেই অপরাধীদের খুব সহজেই সনাক্ত করতে পারবে বলে জানা গেছে। এছাড়া এদিকে প্রধান দুই আসামীর পরিচয় প্রকাশ করা হয়েছে। এদের মাঝে হৃদয় নামে সন্ত্রাসী মাসদাইর চৌধুরীর কমেপ্লেক্সের বাসিন্দা। তার পিতার নাম কুদ্দুস। অপরজন মেহেদী মাসদাইর এলাকার বাসিন্দা। তার পিতার নাম মজিবুর রহমান। এই সন্ত্রাসীর গ্রামের বাড়ি কিশোরগঞ্জ জেলায়। তাদের সঙ্গে আরো যে ১০/১২ জন ছিলো তাদের পরিচয় জানেন না অভিযোগকারী শাহিন। তবে সিসি ক্যামেরার ফুটেজে তাদের চেহারা পরিস্কার রয়েছে।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি ফতুল্লা থানার গাবতলী এলাকা সহ গোটা ফতুল্লা থানা এলাকায় অপরাধীরা আরো বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। শুরু করেছে আরো বেপরোয়া তান্ডব। গত এক সপ্তহে কেবল মাত্র গাবতলী এলাকায়ই তিনটি সন্ত্রাসী ঘটনা ঘটেছে। এর আগে ওই এলাকার সুপ্ত বাহিনী মধ্যরাতে একটি বাড়িতে ঢুকে বেপরোয়া তান্ডব চালিয়েছে। ওই ঘটনায় সুপ্ত বাহিনী একই পরিবারের তিন ভাই ও তাদের বৃদ্ধ পিতামাতকে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করেছে। এই ঘটনায়ও ফতুল্লা থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।