নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থী আব্দুল্লাহ আল কায়সার হাসনাতকে এবং সোনারগাঁ উপজেলা চেয়ারম্যানসহ ১০ ইউপি চেয়ারম্যানকে কারণ দর্শানো নোটিশ (শোকজ) দেওয়া হয়েছে।
আগামী ২৪ ডিসেম্বর বেলা ১১টায় জেলা ও জজ আদালতে তাদের উপস্থিত হয়ে কিংবা তাদের যে কোনো একজন প্রতিনিধিকে উপস্থিত হয়ে এর ব্যাখ্যা প্রদান করতে বলা হয়েছে।
বুধবার (২০ ডিসেম্বর) আসনটিতে দায়িত্বপ্রাপ্ত নির্বাচন অনুসন্ধান কমিটির সভাপতি জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সিনিয়র সহকারী জজ মোহসিনা ইসলাম নোটিশটি ইস্যু করেন।
আব্দুল্লাহ আল কায়সার হাসনাত বাদে বাকি যাদের কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে তারা হলেন, সোনারগাঁ উপজেলা চেয়ারম্যান সামসুল ইসলাম ভূঁইয়া, ভাইস-চেয়ারম্যান বাবুল হোসেন, পিরোজপুর ইউপি চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমান মাসুম, বৈদ্দ্যেরবাজার ইউপি চেয়ারম্যান আলামিন সরকার, সনমান্দি ইউপি চেয়ারম্যান জাহিদ হাসান জিন্নাহ, সাদিপুর ইউপি চেয়ারম্যান আবদুর রশিদ মোল্লা, কাঁচপুর ইউপি চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন, জামপুর ইউপি চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবির ভূঁইয়া,বারদী ইউপি চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমান ও মোগরাপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান আরিফ মাসুদ।
কায়সার হাসনাতকে পাঠানো ওই নোটিশে বলা হয়, গত ১৯ ডিসেম্বর শতাধিক মোটরসাইকেলসহ হাজারো নেতাকর্মী নিয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে মিছিল করেন। এতে যা যান চলাচলে বিঘ্ন ঘটে। প্রার্থীর এ আচরণ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আচরণবিধির লঙ্ঘন। গণমাধ্যমের সংবাদেও বিষয়টি প্রকাশিত হয়েছে।
অন্যদিকে চেয়ারম্যানদের নোটিশে বলা হয়, তারা সরকারি গাড়ি নিয়ে, জ্বালানি পুড়িয়ে নৌকার প্রার্থীর পক্ষে নির্বাচনী প্রচারণা চালিয়েছেন। জাতীয় পার্টির প্রার্থীর নির্বাচন সমন্বয়কারী হাফেজ মাহমুদুল আনোয়ার এ সংক্রান্ত বিষয়ে অনুসন্ধান কমিটির কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। এ অভিযোগের প্রেক্ষিতে চেয়ারম্যানদের ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে বলে নোটিশে উল্লেখ রয়েছে।
এ বিষয়ে আব্দুল্লাহ আল কায়সার হাসনাত বলেন, দীর্ঘদিন এ আসনটিতে নৌকার প্রার্থী ছিল না। এবার প্রার্থী পেয়ে আনন্দিত হয়ে দলীয় নেতাকর্মীরা মিছিল করেছেন। মূলত মিছিলটি ছিল দলের কেন্দ্রীয় আনন্দ মিছিল কর্মসূচির অংশ হিসেবে। আমরা সরাসরি মহাসড়কে ছিলাম না। ডাইভারশন রোডের ওপর ছিলাম। আমরা কোনো যানজট তৈরি করিনি। যেহেতু আমাকে শোকজ করা হয়েছে অবশ্যই এর ব্যাখ্যা প্রদান করবো।
সোনারগাঁ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সামসুল ইসলাম ভূঁইয়া বলেন, তিনিসহ কোনো চেয়ারম্যানই সরকারি গাড়ি ব্যবহার করেন নি। এর সঠিক ব্যাখ্যা আমরা কর্তৃপক্ষের সামনে উপস্থিত হয়ে জানাবো।