বন্দরে এক তরুণীর(১৮) হাত-পা বেঁধে আপত্তিকর ভিডিও ধারন করে ধর্ষণের ঘটনায় মোখলেছুর রহমান (২২) নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) রাতে উপজেলার কলাগাছিয়া ইউনিয়নের বুরুন্দী এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। বুধবার দুপুরে তাকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
গ্রেফতারকৃত মোখলেছুর রহমান ওই এলাকার এমদাদ মিয়ার বাড়ি ভাড়াটিয়া ও আলী মিয়ার ছেলে।
জানা গেছে, গত মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ৭টায় বন্দর উপজেলার কলাগাছিয়া ইউনিয়নের নরর্পদীস্থ কুড়িয়াভিটা ব্রীজের ঢালে এ ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ধর্ষিতা যুবতী বাদী হয়ে গত শুক্রবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) রাতে ২ জনের নাম উল্লেখ্য করে ও অজ্ঞাতনামা ৫/৭ জনকে আসামি করে বন্দর থানায় মামলা দায়ের করে। ধর্ষনের ঘটনার পর থেকে ধর্ষক অয়ন ও তার সহযোগি সিফাতসহ অন্যরা পলাতক রয়েছে।
ঘটনা সূত্রে জানাগেছে, গত ১১ ফেব্রুয়ারি রাত ৮ টায় ভুক্তভোগী তরুণী ও তার ১৩ বছরের চাচাতো ভাই সিয়াম বন্দর উপজেলার নরপর্দীস্থ জনৈক হান্নান মিয়ার দোকানের সামনে দিয়ে বাসায় ফেরার পথে সেখানে উৎপেতে থাকা কলাগাছিয়া ইউনিয়নের নরপর্দী এলাকার নাহিদ মিয়ার ছেলে সিয়াম উল্লেখিত তরুণীকে পথরোধ করে জোর পূর্বক একটি অজ্ঞাতনামা অটো গাড়িতে করে নরপর্দী স্কুলের সামনে নিয়ে যায়। পরে সেখানে সিফাত ও অয়নসহ অজ্ঞাতনামা ৫/৭ জন মিলে ওই নারীকে জোর পূর্বক ভাবে হাত-পা বেঁধে পরিধানের জামা-কাপড় টানা হেচড়া করে ছিড়ে ফেলে আপত্তিকর ভিডিও ধারন করে এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভিডিও ভাইরাল করার ভয়-ভীতি প্রদর্শন করে। পরবর্তীতে ভুক্তভোগী তরুণী গত মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা ৬টায় ঘারমোড়াস্থ চাচাতো বোনের বাড়িতে বেড়াতে আসলে, সিফাত ভুক্তভোগী তরুণীর চাচাতো বোনের মোবাইলে ফোন করে তাকে নরপর্দী ব্রিজের সামনে আসতে বলে। পরে ওই তরুণী ব্রিজে আসবে না বলে জানালে, এ ঘটনায় সিফাত ক্ষিপ্ত হয়ে ধারণকৃত আপত্তিকর ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল করার ভয় দেখায়। এতে ওই তরুণী সম্মানের ভয়ে মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৭টায় বন্দর থানার কুড়িয়াভিটা ব্রিজের সামনে আসলে সিফাতের সাথে থাকা অয়ন ওই নারীকে কুপ্রস্তাব দেয়। কুপ্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় সিফাতসহ অজ্ঞাত নামা ৫/৭ জনের সহায়তায় অয়ন ওই নারীকে ধর্ষণ করে পালিয়ে যায়।