নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের জরুরী বিভাগে তরুণীর লাশ ফেলে পালিয়েছে এক যুবক।
গত ২৪ ঘন্টায় সেই যুবককে শনাক্ত করা গেলেও আটক করা সম্ভব হয়নি। জানা যায়নি মৃত্যুর কারণ।
তরুণীর মৃত্যুর ঘটনায় জড়িত সন্দেহে লাশ হাসপাতালে ফেলে আসা সেই যুবককে খুঁজছে পুলিশ। সংশ্লিষ্ট থানার ওসি বলছেন, তাকে আটক করা গেলে মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।
নিহত তরুণীর নাম তাসনিম (২২)। সে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল থানার রানিদিয়া গ্রামের সায়েদ মিয়ার মেয়ে ও ইসদাইরের আমানা গার্মেন্টসে চাকুরী করতো।
হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়,১ জানুয়ারী সন্ধ্যা ৭ টা ৫০ মিনিটের দিকে এক তরুন নিহত তরুণীকে নিয়ে ভিক্টোরিয়া হাসপাতালের জরুরী বিভাগে আসে। তরুন নিজেকে শাকিল নামে পরিচয় দেয় এবং ঠিকানা মাসদাইর বলে উল্লেখ্য করে হাসপাতালের জরুর বিভাগে নাম লেখায়। জরুরী বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাসনিমকে মৃত ঘোষণা করে। তখন ঐ যুবক সেখান থেকে পালিয়ে যায়। হাসপাতাল থেকে ফোন পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় ফতুল্লা মডেল থানার উপ-পরিদর্শক মফিজুল ইসলাম। তদন্তে নেমে জানতে পারেন পালিয়ে যাওয়া যুবকের নাম শাকিল নয়। তার আসল নাম শাওন। সে এবং নিহত তরুণী স্বামী -স্ত্রী পরিচয়ে গত দুই মাস ধরে আমানা গার্মেন্টসের পেছনের একটি ভাড়া বাসায় বসবাস করে আসছিলো। তবে কি কারণে মেয়েটির মৃত্যু হয়েছে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট না পেলে নিশ্চিত করতে পারেনি।
উপ-পরিদর্শক মফিজুল ইসলাম জানান, নিহতের ডান চোয়ালে খামছি(আচড়)র দাগ রয়েছে। এছাড়া শরীরের আর কোন কোথাও আঘতের চিন্থ নেই। তবে মুখ দিয়ে ফেনা বের হতে দেখা যায়।
ফতুল্লা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নূরে আযম এনএনডি টিভিকে জানান, পালিয়ে যাওয়া তরুন শাকিল ওরফে শাওন কে পেলেই নিহত তরুণীর মৃত্যুর প্রকৃত কারন জানা যাবে। তাকে আটক করতে পুলিশ কাজ করছে।