দীর্ঘ ১৫ বছর পর নারায়ণগঞ্জ শহরে আসছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রীর আগমনকে ঘিরে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে পুরো নারায়ণগঞ্জ জুড়ে। ব্যানার-ফেস্টুনসহ বর্ণিল সাজে সজ্জিত করার প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে জনসভাস্থল, সড়ক-পথঘাট। দলীয় নেতাকর্মী-সমর্থকদের মাঝে বইছে আনন্দের বন্যা। তারা দলে দলে সভাস্থলে আসার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
ইতোমধ্যেই প্রধানমন্ত্রীর আগমন ঘিরে প্রস্তুতি সভা করেছেন প্রভাবশালী এমপি শামীম ওসমান। সভায় জেলা ও মহানগরের শীর্ষ নেতারা উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া বিভিন্ন এলাকায় প্রস্তুতি সভা করছেন নেতাকর্মী ও সমর্থকরা। সম্ভাব্য আগমন পথে সাঁটানো হচ্ছে নৌকার পোস্টার। নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করতে ব্যাপক নেওয়া হয়েছে।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ৩ দিন আগে ৪ জানুয়ারি নারায়ণগঞ্জের ইসদাইরে একেএম সামসুজ্জোহা ষ্টেডিয়ামে আসবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রীর আগমনকে ঘিরে ৫ লাখ মানুষের সমাগম ঘটবে জানিয়ে নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থী একেএম শামীম ওসমান বলেছেন, নেত্রীর নিরাপত্তা আমদের জন্য বড় বিষয়। উনি বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ। আগামী প্রজন্মের জন্য সুন্দর বাংলাদেশ গড়ে তুলতে উনি বদ্ধপরিকর। নারায়ণগঞ্জে ৪ জানুয়ারী তার নির্বাচনী শেষ সমাবেশ হবে। কেন্দ্র থেকে সমাবেশের জন্য যে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে সে অনুযায়ী কাজ হচ্ছে। এর বাইরে আমরাও নেত্রীর নিরাপত্তার ব্যাপারে আরও কি করা যায় তা নিয়ে আমাদের দেখতে হবে।
এদিকে নিরাপত্তা নিয়ে ব্যাপক প্রস্তুতি নিচ্ছে নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ ও প্রশাসন।
নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার গোলাম মোস্তফা রাসেল এনএনডিটিভিকে জানান, প্রধানমন্ত্রীর আগমন মানে হচ্ছে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা অগ্রাধিকার পাবে। এসএসএফ তার নিরাপত্তা নিশ্চিত করে, তাদের সাথে আগামীকাল একটি আলোচনা সভায় বসে প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তার বিষয়টি সমন্বয় করে নিশ্চিত করা হবে। ইতোমধ্যে তার আগমনকে ঘিরে গোয়েন্দারা মাঠে কাজ করছে।
এর আগে সর্বশেষ ২০০৮ সালে সংসদ নির্বাচনের মাত্র ছয়দিন আগে ২৩ ডিসেম্বর নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় ইসদাইরে ওসমানী স্টেডিয়ামে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা এসেছিলেন। বিশাল সেই জনসভায় জেলার পাঁচটি নির্বাচনী আসনে মহজোট প্রার্থীদের পক্ষে প্রচারণার জনসভায় প্রধাণ অতিথি ছিলেন তিনি।