নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলার কদমরসূল এলাকা থেকে অমিত হাসান নামে এক যুবককে তুলে নিয়ে নির্যাতনের মাধ্যমে পোনে ২ লাখ টাকা মুক্তিপণ আদায় করার অভিযোগ উঠেছে। এরপর মুক্তিপণের টাকা আদায়ের পর সেই অমিত হাসান ও তাঁর বড় ভাই মেহেদী হাসানকে বেদড়ক মারধর করে ছেড়ে দেয় তারা।
বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারী ) রাত ১১ টার দিকে কদমরসূল উইলসন রোড এলাকা থেকে অপহরণ করার ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী অমিত হাসান ওই এলাকার রহমত উল্লাহ ছেলে।
এ ঘটনায় শুক্রবার (১৯ জানুয়ারী) শফিউল্লাহ বাদী হয়ে বন্দর থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন তিনি। রাজবাড়ী এলাকার সম্পাদ ও সালমান সহ অজ্ঞাত ২০/২৫ জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে।
অভিযোগ সুত্রে জানা গেছে, গত ১৮ জানুয়ারী রাত ১১ টার দিকে কদমরসূল উইলসন রোড এলাকার নিজ বাড়ির সামনে থেকে শফিউল্লাহ’র ছোট ভাই অমিত হাসানকে অপহরণকারী চক্র অপহরণ করে। এরপর রাত্র সাড়ে ১১ টার দিকে অপহৃত অমিত হাসানের ফোন দিয়ে শফিউল্লাহকে ফোন করে দুই ২ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবী করে। শফিউল্লাহ বিবাদীদের কথা মতো মুক্তিপন হিসাবে বিবাদীদের ১ লাখ ৭ হাজার টাকা দেয়ার জন্য সালেহ পাগলার মোড়ে গেলে শফিউল্লাহকে একটি বালুর গর্তে টাকা গুলো রাখতে বলে। পরে শফিউল্লাহ বিবাদীদের কথা মতো উক্ত স্থানে টাকা গুলি রাখেন। পরবর্তী সময়ে শফিউল্লাহ লোকজনের সহায়তায় তাঁর ভাইকে আহত অবস্থায় বিবাদীদের কবল হতে উদ্ধার করে বাড়ী ফেরার পথে বিবাদীরা পূনরায় শফিউল্লাহ’র রিক্সা গতিরোধ তাদের মারধর শুরু করে। তখন ৯৯৯ এ কল দিয়ে জরুরী পুলিশের সহায়তায় তাঁর ভাই মেহেদী হাসানকে উদ্ধার করে এবং বন্দর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করায়।
এবিষয় বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম মোস্তফা এ অভিযোগের বিষয়ে কিছুই জানেন না বলে জানিয়েছেন।