গ্যাসসংকটের পাশাপাশি এবার শুরু হয়েছে বিদ্যুতের লোডশেডিং। চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা থাকা সত্ত্বেও প্রয়োজনীয় জ্বালানি সরবরাহ ব্যাহত হওয়ায় এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। গ্যাস-বিদ্যুৎসংকটের কারণে কলকারখানা থেকে শুরু করে বাসাবাড়িতে সৃষ্টি হয়েছে চরম দুর্দশা।
এরই মধ্যে গ্যাস নিয়ে সুখবর দিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু।
তিনি বলেছেন, ঢাকা এবং চট্টগ্রামে গ্যাসের যে সংকট রয়েছে, আমরা আশা করছি আগামী দুই-একদিনের মধ্যেই তা কমে অনেক ভালো অবস্থায় আসবে। এটা আমাদের জন্য একটি সুখবর।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, আগামী দুই বছরের মধ্যে দেশের সকল গ্রাহককেই প্রিপেইড গ্যাস মিটার আওতায় আনা হবে। এরপর থেকেই নিরবিচ্ছিন্ন গ্যাস সরবরাহ করা সম্ভব হবে।
আজ রবিবার সচিবালয়ে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে এ আশাবাদ ব্যক্ত করেন প্রতিমন্ত্রী।
তিনি আরো বলেন, এলপিজি গ্যাসের দামও অনেকটা কমে গেছে তুলনামূলকভাবে। শিল্পকল কারখানায় পাইপ লাইনের মাধ্যমে গ্যাস দেওয়ার গুরুত্ব বেশি থাকবে। বাসা বাড়িতে এলপিজি গ্যাস দেওয়ার লক্ষ্যকে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হবে।
গ্যাসের দাম বাড়বে এমন গুজবে কান না দিতে আহ্বান জানিয়ে নসরুল হামিদ বলেন, এখন থেকে নিজস্ব গ্যাস আহরণে আশাবাদী সরকার। বাসা বাড়ির গ্যাসের দাম সমন্বয় করা হবে না। গ্যাসের দাম বাড়বে বলে গুজবে কান না দেওয়াই ভালো।
মহেশখালীর এলএনজি এফএসআরইউয়ের কারিগরি ত্রুটির কারণে সরবরাহ না থাকায় শুক্রবার (১৯ জানুয়ারি) সকাল থেকেই চট্টগ্রাম ও আশপাশের এলাকায় তীব্র গ্যাস সংকট শুরু হয়।
অন্যদিকে কারিগরি ত্রুটির কারণে গ্যাস সরবরাহ কমে যাওয়ায় গ্যাসভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদনে ব্যাঘাত ঘটে। ন্যাশনাল লোড ডেসপাস সেন্টারের (এনএলডিসি) তথ্যমতে, মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে ৯ হাজার ৩৭০ মেগাওয়াট বিদ্যুতের চাহিদার বিপরীতে উৎপাদন হয়েছে ৯ হাজার ৫৫ মেগাওয়াট। ঘাটতি ছিল ৩০০ মেগাওয়াট। পরদিন বুধবার দুপুরে প্রায় ২৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুতের ঘাটতি ছিল। গতকাল এই ঘাটতি গিয়ে প্রায় এক হাজার মেগাওয়াটে গিয়ে দাঁড়ায়।