সোনারগাঁয়ে মেঘনা নদীর তীরে উচ্ছেদ অভিযান চালানোর সময় দু’জনকে আটক করেছে করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। এসময় ৩৫টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে।
বিআইডব্লিউটিএর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাছলিমা আক্তারের নেতৃত্বে বুধবার (৩১ জানুয়ারি) সকালে এ অভিযান শুরু হয়ে বিকেল ৪টা পর্যন্ত চলে।
চর কিশোরগঞ্জ ফেরিঘাটে উচ্ছেদ অভিযানে অবৈধ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালিকপক্ষের লোকজন হামলা চালিয়ে এক্সকেভেটরের কাঁচ ভাঙচুর করলে ২ জনকে আটক করে পুলিশ।
পরে বিআইডব্লিউটিএ’র নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট তাছলিমা আক্তার ভ্রাম্যমান আদালত বসিয়ে দুজনকে ৩০ হাজার টাকা অর্থদন্ড প্রদান করেন।
এদিকে উচ্ছেদের আগে কোন নোটিশ বা সময় দেয়া হয়নি বলে অবৈধ দখলদাররা দাবি করলেও স্থানীয়দের কেউ কেউ জানান, অবৈধ স্থাপনা সরিয়ে নিতে গত কয়েকদিন ধরেই মাইকিং করা হয়েছে। একই দাবি করেন বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃপক্ষ।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোছা. তাসলিমা আকতার বলেন, উচ্চ আদালতের নির্দেশে মেঘনা নদী অবৈধ দখলমুক্ত করতে আমরা দুই দিনব্যাপী উচ্ছেদ অভিযান শুরু করেছি।
আজকে প্রথম দিন আমরা সোনারগাঁয়ের চর কিশোরগঞ্জ ফেরিঘাট ও আশপাশের এলাকায় রিসোর্ট, রেস্তোরা, দোকানপাট, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, জেটি ও ড্রেজার সহমোট ৩৫টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করতে সক্ষম হয়েছি।
তবে আমাদের অভিযানে বাধা সৃষ্টি ও সরকারি সম্পদ ভাঙচুর করায় দুজনকে আটক করে তাদের ত্রিশ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) বৈদ্যেরবাজার এলাকায় আমাদের অভিযান চলবে।
অভিযানের বিষয়ে বিআইডব্লিউটিএ মেঘনা ঘাট নদী বন্দরের উপ পরিচালক মো. শরিফুল ইসলাম বলেন, উচ্ছেদ অভিযান আমাদের নিয়মিত ও চলমান কার্যক্রমের একটি অংশ।
নিয়ম মেনেই আমরা উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করছি। মেঘনা নদীর চরকিশোরগঞ্জ ফেরিঘাট এলাকা থেকে সোনারগাঁওয়ের বৈদ্যের বাজার পর্যন্ত প্রায় দুই কিলোমিটার এলাকা পর্যন্ত ১০০ টি অবৈধ স্থাপনা চিহ্নত করে এ উচ্ছেদ অভিযান শুরু হয়েছে এবং পর্যায়ক্রমে উচ্ছেদ করবো।
যতো বাধাই আসুক আমরা আমাদের উচ্ছেদ অভিযান অব্যাহত রাখবো। দখলদারদের কাউকে আমরা ছাড় দেবো না।