নারায়ণগঞ্জে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) এর পণ্য কালোবাজারে চলে যাচ্ছে।
টিসিবির পরিবেশকদের সাথে যোগসাজশে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের এক জনপ্রতিনিধির বিরুদ্ধে এই অভিযোগ পাওয়া গেছে। ফলে কম মূল্যে নিত্যপণ্য কিনতে না পেরে নিম্ন আয়ের মানুষ পড়েছেন বিপাকে।
অভিযুক্ত জনপ্রতিনিধি ২৭ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. সিরাজুল ইসলাম। তার বিরুদ্ধে গুরুতর এই অভিযোগটি তুলেছেন ২৫, ২৬ ও ২৭ নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত কাউন্সিলর সানিয়া আক্তার।
জানা গেছে, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের বাজার স্থিতিশীল রাখার উদ্দেশ্যে ভর্তুকি মূল্যে জনগণের কাছে পণ্য পৌছে দেয় ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)। সরকারের এই মহৎ উদ্যোগ সারাদেশের মতো নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনেও চলছে। এলাকাটির বাসিন্দারা‘পরিবার কার্ড’র মাধ্যমে তোলনা মূলক কম দামে চাল, ডাল ও তেল সংগ্রহ করছেন। নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনে ‘পরিবার কার্ড’বিতরণের দায়িত্বে ছিল কাউন্সিলররা।
২৭ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. সিরাজুল ইসলামের বিরুদ্ধে (২৫, ২৬ ও ২৭ নং ওয়ার্ডের) সংরক্ষিত কাউন্সিলর সানিয়া আক্তার এনএনডিকে অভিযোগ করে জানান, টিসিবির পণ্য সরকার সাধারণ মানুষের জন্য দিলেও অনেক কার্ড সিরাজুল ইসলাম নিজেই নিয়ে নিয়েছেন। এসকল কার্ডের পণ্য উত্তোলন তিনিই করেন পাশাপাশি স্লিপে স্বাক্ষর করে অনেক পণ্য নিয়ে নেন। এতে সাধারণ জনগণ তাদের প্রাপ্ত ভর্তুকি মূল্যের পণ্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
গত ২৭ জানুয়ারি বেলা ১১টায় টিসিবির পণ্যের গাড়ি সিরাজুল ইসলামের বাড়ির পুকুর পাড়ে রেখে আনলোড করার অভিযোগ তুলেছেন এই নারী কাউন্সিলর। এসব কাজে সিরাজুল ইসলামের ছেলে ফরহাদ, তামিম, তাদের পাশের বাসার জামালের স্ত্রী মমতাজ ও টিসিবির পরিবেশক ইসমাইল জড়িত রয়েছে বলেও জানিয়েছেন। একই ভাবে ৩১ জানুয়ারি টিসিবির পণ্য সরানোর অভিযোগ করেছেন তিনি।
নারী কাউন্সিলর সানিয়া আক্তার বলেন, এসবের প্রতিবাদ করায় আমার সাথে খারাপ আচরণ করেছে সিরাজুল ইসলাম।
তবে, সানিয়া আক্তারের বিরুদ্ধে পাল্টা অভিযোগ তুলে সিরাজুল ইসলাম বলেন, সানিয়া আক্তার নতুন করে টিসিবির কার্ড বানানোর চেষ্টা করায় আমি বাঁধা দিয়েছে। এই ক্ষোভ থেকে আমার বিরুদ্ধে নানা জায়গায় অভিযোগ দিচ্ছেন তিনি। আমার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ প্রমাণ করতে পারলে স্বেচ্ছায় কাউন্সিলর পদ থেকে পদত্যাগ করবো।