দু’দিন না যেতেই বঙ্গবন্ধু সড়কের অধিকাংশ আবারও অবৈধ দখলকারীদের কবলে চলে গেছে। দু’দিন আগে এই এলাকায় নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসন ও জেলা পুলিশ অভিযান পরিচালনা করে ছিল।
এ সময় দখলদার মুক্ত করা হয়েছিল ফুটপাত। কিন্তু এখন আবার সেই পুরনো চেহারায় ফিরে এসেছে চাষাঢ়া এলাকা।
বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) চাষাঢ়া ও তার আশেপাশের এলাকা ঘুরে দেখা গেছে এই চিত্র।
ফুটপাত দখল করে রাখা হকার ও যানজট নিরসনে গত ৩ ফেব্রুয়ারি নারায়ণগঞ্জের মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভী, সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমা ও সেলিম ওসমান বৈঠক করেন। সেখানে জেলা প্রশাসক ও এসপি উপস্থিত ছিলেন। সকলের মতামতের ভিত্তিতে হকার উচ্ছেদের সিদ্ধান্ত আসে। সেই সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতে ৬ ফেব্রুয়ারি জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আরাফাত মোহাম্মদ নোমানের নেতৃত্বে চাষাঢ়া ও তার আশেপাশের এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমান আদালত।
অভিযানে অবৈধভাবে গড়ে তোলা ফুটপাত দখল মুক্ত করা হয়। এতে এলাকাবাসীসহ পথচারীরা আনন্দ প্রকাশ ও মেয়র-এসপি ও প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানিয়েছিলেন।
কিন্তু এখন পরিস্থিতি আবার আগের অবস্থায় চলে যাওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন তারা। তাদের অভিযোগ, ফুটপাত অবৈধভাবে দখলের পেছনে স্থানীয় কোন প্রভাবশালীদের প্রত্যক্ষ মদদ আছে। যার ফলে অভিযান পরিচালনা করেও ফুটপাত দখলমুক্ত রাখা যাচ্ছে না।
একই কথা জানান হাসান আলী নামের এক ব্যবসায়ী। তিনি বলেন, ‘এখন তো ফুটপাত দিয়ে হাঁটা যায় না, রাস্তা দিয়ে হাঁটতে হয়, বাচ্চাদের নিয়ে টেনশনে থাকি, কখন কী হয়।’
চাষাঢ়ায় সোনালী ব্যাংকের সামনের নাম প্রকাশে অনিচ্ছিুক ফুটপাত দখল করা ব্যাবসায়ী জানান, নিয়মিত চাঁদা দেন তিনি এই জায়গার জন্য, তবে যাকে চাঁদা দেন তাকে তিনি চেনেন না।
নারায়ণগঞ্জের ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার আমির খসরু এনএনডিকে জানান, আমরা প্রতিনিয়তই সড়ক গুলোতে টহল দেওয়াচ্ছি। হকাররা আমাদের সাথে ইদুঁর বেড়াল খেলছে। হকার উচ্ছেদের ব্যাপারে আমরা সর্বোচ্চ সর্তক রয়েছি। এই খেলাও বন্ধ হয়ে যাবে।