নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে মাদক কারবারি ধরতে গিয়ে বাধার মুখে পড়েছেন পুলিশ সদস্যরা। পরে অতিরিক্ত পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। স্থানীয় সেচ্ছাসেবক লীগ নেতা শফিকুল ইসলাম শফির বাহিনী এ হামলা চালিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় একজনকে আটক করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১ টায় (নাসিক) ২ নং ওয়ার্ড এলাকা এ ঘটনা ঘটেছে।
আটককৃত মাদক কারবারি মিজমিজি আব্দুল আলীর পুল এলাকার মৃত সিরাজের ছেলে মো: সোহাগ।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীদের থেকে জানা গেছে, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) আনোয়ার হোসেন মাদকের কেনাবেচার সন্ধান পেয়ে তার সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ওই এলাকায় অভিযানে যান। সেখানে গিয়ে সোহাগ নামক এক কারবারিকে মাদকসহ আটক করে থানায় নিয়ে যেতে চাইলে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা সেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি পদপ্রার্থী শফিকুল ইসলাম শফি তার একদল কিশোর গ্যাং সদস্য নিয়ে এসে পুলিশকে বাধা দেন। কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে পুলিশকে বহন করা সিএনজিটিতে হামলা চালান ওই সন্ত্রাসী গ্রুপ। পরবর্তীতে থানার ওসি সহ পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থলে পৌঁছলে কিশোর গ্যাং সদস্যরা দ্রুত স্থান ত্যাগ করেন।
হামলার শিকার হওয়া এসআই আনোয়ার হোসেন জানিয়েছেন, মাদক কারবারিকে ধরার পর তাদের কিছু সহযোগী ঝামেলা করার চেষ্টা করে। পরবর্তীতে আমাদের ওসি স্যার এসে তা নিয়ন্ত্রণে এনেছেন।
হামলা অভিযোগের সত্যতা জানতে চাইলে সেচ্ছাসেবক লীগ নেতা শফিকুল ইসলাম শফি মুঠোফোনে প্রতিবেদককে বলেন, আমি একটু ব্যস্ত আছি। পাঁচ মিনিট পর আপনাকে কল ব্যাক করবো।
এ বিষয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আবু বকর সিদ্দিক বলেন, এসআই আনোয়ার ওই এলাকা থেকে একজন মাদক কারবারিকে আটক করে। জায়গাটি অন্ধকারছন্ন হওয়াতে আটককৃতদের কিছু সহযোগী উত্তেজিত হয়ে পুলিশকে চিনতে না পেরে সিএনজিতে আঘাত করে। পরবর্তীতে আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিবেশ নিয়ন্ত্রণে এনেছি। এই ঘটনায় একজনকে আটক করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে মামলা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, সেচ্ছাসেবক লীগ নেতা শফির ছেলে সীমান্ত আলোচিত কিশোর গ্যাং ‘টেনশন’ গ্রুপের লিডার। ইতিপূর্বে র্যাব-ডিবি ও থানা পুলিশ একাধিকবার তাকে গ্রেপ্তার করে জেল হাজতে পাঠিয়েছেন। তবে বাবার সেল্টারে জেল থেকে বের হয়ে ফের সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালিয়ে আসছে।