নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী একেএম শামীম ওসমান বলেছেন, নির্বাচন কমিশনের (ইসি) কঠোর নিষেধ আছে অনুমতি ছাড়া কোনো রাজনৈতিক দল বা কোনো ব্যক্তি কোনো রাজনৈতিক প্রোগ্রাম করতে পারবে না। তারপরও গতকাল আমি দেখেছি আমার এলাকায় ফতুল্লাতে ধ্বংসাত্মক কাজ চালানো হয়েছে। এটা হচ্ছে মানুষ মনে ভীতি সৃষ্টি করার একটা অপপ্রয়াস এবং যেই ঘটনাটি গতকাল ঘটেছে ট্রেনের ভিতরে। যেই ঘটনা দেখার পর আমি এখনো মানসিকভাবে সুস্থ না৷ কাল যখন আমার নাতী আমার কোলে ছিলো ওই সময় আমাকে একজন সাংবাদিক ঢাকা থেকে ভিডিও ফুটেজটা পাঠালেন। একটা বাচ্চা তার মাকে জড়িয়ে আগুনে পুড়ে মারা গেছে। এই দৃশ্য দেখার পরে আমার বিশ্বাস যে আপনারও সুস্থ নাই আমিও সুস্থ নাই। তাই আমি নির্বাচন কমিশনের কাছে অনুরোধ করবো যারা এই কাজগুলো করেছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেন। যদি নির্বাচন কমিশন কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ না করেন তাহলে আমরা জনগণ নিয়ে রাস্তায় নামতে বাধ্য হবো।
বুধবার (২০ ডিসেম্বর) বিকেলে সিদ্ধিরগঞ্জের নাসিক ৬নং ওয়ার্ডে গণসংযোগকালে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় শামীম ওসমান আরও বলেন, নির্বাচন উৎসবমুখর করার জন্য যা কিছু করার প্রয়োজন আমরা সেটা করবো এবং আমার বিশ্বাস নির্বাচন উৎসব মুখর হবে। তবে একটা জিনিস মনে রাখবেন এই দেশে কিছু ইবলিশ শয়তান আছে, এই ইবলিশ শয়তানরা ২১ আগষ্ট গ্রেনেড হামলা ঘটিয়ে ছিলো।
তিনি বলেন, আমি আমার মত নিয়ম কানুন মেনে নির্বাচন করছি। নির্বাচন কমিশন যেদিন নির্বাচন ডিক্লেয়ার দিয়েছেন আমি একা গিয়েছি মনোনয়ন পত্র আনতে। আমার অনেক নেতা কর্মী আমার উপর কষ্ট পেয়েছে। আমার প্রতীক আনতে আমি যাই নেই আমার সিনিয়র নেতা কর্মী ও আমার সন্তান গিয়েছেন। কারণ আমি যদি ওইখানে যেতাম ৫০-৬৯ হাজার লোক উপস্থিত হতো রাস্তা ঘাট বন্ধ হয়ে যেতো। আমরা নির্বাচন কমিশনের সমস্ত আইন মেনে চলছি।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট খোকন সাহা, শহর যুবলীগের সভাপতি শাহাদাত হোসেন ভুঁইয়া সাজনু, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুজিবুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক ইয়াসিন মিয়া, নাসিক ৬ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মতিউর রহমান মতি প্রমুখ।