নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় কিশোর সালমান খন্দকারকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনার মামলার পলাতক আসামি অপুকে (১৮) গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
রোববার (২৫ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান র্যাব-১১ এর সিপিসি-১ এর উপ-পরিচালক মেজর অনাবিল ইমাম।
এর আগে ঢাকার উত্তর শাহজাহানপুর এলাকায় বিশেষ অভিযান চালিয়ে এ মামলার এজাহারনামীয় তিন নম্বর আসামিকে (নব মুসলিম) গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদ ও এজাহার পর্যালোচনায় জানা যায়, ২২ ফেব্রুয়ারি কিশোর সালমান খন্দকার এবং তার দুই বন্ধু শুভ ও জুম্মানের সঙ্গে একত্রে ফতুল্লা মডেল থানাধীন দেলপাড়া ১০ তলা বিল্ডিং সংলগ্ন খালী মাঠে গল্প করছিল। তখন এক নম্বর আসামি জাহিদ (২০) তাদের পাশে দাঁড়িয়ে ধূমপান করলে তারা অন্যত্র সরে গিয়ে ধূমপান করতে বলেন। এ সময় জাহিদ ভিকটিমের ওপর চড়াও হয় এবং তাদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। একপর্যায়ে জাহিদ, সাজ্জাদ (১৯), অপুসহ অজ্ঞাতপরিচয় ১০/১২ জন ভিকটিমের ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে কাঠ ও লোহার রড দিয়ে এলোপাথাড়ি মারধর করে গুরুতর জখম করে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়দের সহায়তায় সালমান খন্দকারের বাবা মোফাজ্জল খন্দকার (৫৬) তাকে চিকিৎসার জন্য স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ, মিটফোর্ড হাসপাতাল নিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসক সালমানকে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে ২৩ ফেব্রুয়ারি রাতে মৃত ঘোষণা করেন। ওই রাতেই ভিকটিমের বাবা সালমানের মরদেহ বাসায় নিয়ে আসেন। খবর পেয়ে ফতুল্লা মডেল থানার পুলিশ ওই বাসায় এসে মরদেহ সুরতহাল রিপোর্ট প্রস্তুত করে ময়নাতদন্তের জন্য জেনারেল হাসপাতাল ভিক্টোরিয়া, নারায়ণগঞ্জ মর্গে পাঠায়। পরে নিহতের বাবা ২৪ ফেব্রুয়ারি থানায় আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
গ্রেপ্তার আসামিকে ফতুল্লা মডেল থানায় পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানায় র্যাব।