নির্বাচন কমিশনার আলমগীর বলেছেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মতোই উপজেলা নির্বাচনে একই ব্যবস্থা থাকবে, কোন উত্তেজনাই সুষ্ঠু নির্বাচনে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করতে না। উপজেলা নির্বাচনগুলো যেন শান্তিপূর্ণ হতে পারে সেজন্য আমাদের আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, আমাদের প্রশাসন এবং অন্যান্য বিভাগ ব্যবস্থা নিয়েছে। আমরা একটা সুষ্ঠু শান্তিপূর্ণ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন চাই। কোন অপশক্তি অন্যায়ের কাছে যেন আমরা মাথা নত না করি।
রোববার নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসনের সম্মেলন কক্ষে উপজেলা নির্বাচন উপলক্ষ্যে জেলার রিটার্নিং অফিসার, সহকারি রিটার্নিং অফিসার, আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর স্থানীয় কর্তৃপক্ষ ও নির্বাচন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গের সাথে মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিক একথা বলেন তিনি।
নির্বাচনে প্রভাব বিস্তারের ব্যাপারে তিনি বলেন, সংসদ নির্বাচনে যে ধরনের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে এবারো একই ধরনের ব্যবস্থা নেয়া হবে। উপজেলা নির্বাচনে আইনের ব্যতয় ঘটালে যে প্রার্থী যার আত্মীয় হোক কাউকে ছাড় দেয়া হবে না।
তিনি বলেন, এখানে কে কার আত্মীয়, কে কার আত্মীয় নয় এটা বিবেচ্য বিষয় নয়। বিবেচ্য বিষয় হলো উনি প্রার্থী কিনা, আর প্রার্থী হলে উনার যেসকল আইনগত অধিকার আছে সেগুলো সমান পাবে, যেগুলো করার অধিকার নেই যারই আত্মীয় হোক না কেন তার বিষয়ে কোন ছাড় দেয়া হবেনা। ইতোমধ্যে আপনারা দেখেছেন যারা এ ধরনের কাজ করেছেন তাদের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনের যারা কর্মকর্তা আছেন তারা ব্যবস্থা নিয়েছেন।
এতে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মাহমুদুল হকের সভাপতিত্বে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও নির্বাচন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।