নারায়ণগঞ্জ শহরের নিতাইগঞ্জে ব্যক্তিগত উদ্যোগে সড়ক মেরামতের কাজ করে প্রশংসিত হয়েছেন বঙ্গবন্ধু মানব কল্যাণ পরিষদের জেলার সভাপতি আলহাজ্ব মকছুদুর রহমান জাভেদ। সোমবার (২০ মে) সকালে নিতাইগঞ্জ মধ্য নলুয়া এলাকার শাখা সড়কের মেরামত কাজ করা হয়। এতে প্রায় ৭ থেকে ৮শ পরিবারের মুখে স্বস্তির হাঁসি ফুটে উঠেছে।
এ বিষয়ে বঙ্গবন্ধু মানব কল্যাণ পরিষদের জেলার সভাপতি আলহাজ্ব মকছুদুর রহমান জাভেদ বলেন, এই সড়কের স্লাভ উঁচু-নিচু (অসমতল) ছিল। ফলে রিকশা সহ বিভিন্ন রকম যানবাহন সড়ক দিয়ে যাতায়াত করার সময় উল্টে গিয়ে প্রায় সময় দুর্ঘটনা ঘটতো। ফলে ওই এলাকার প্রায় ৭ থেকে ৮শ পরিবার ভোগান্তি থেকে পরিত্রাণ পেতে আমাকে অনুরোধ করেছে। এর ধারাবাহিকতায় আমি নিজ উদ্যোগে সড়কটি মেরামত করার উদ্যোগ নিয়েছি। সকাল থেকে সড়ক মেরামতের কাজ চলছে। আশা করি, এলাকাবাসীর এই সমস্যা আজ থেকে আর থাকবে না।
পারিবারিকভাবে সমাজসেবা করার ঐতিহ্যকে ধরে রেখেছেন জাভেদ। এলাকার নানা সমস্যা সমাধানের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমার এলাকার নানান সমস্যা আমি ব্যক্তিগত উদ্যোগে সমাধান করেছি। ২০১৯ সালে সিটি করপোরেশনের জৈনক ব্যক্তির মাধ্যমে এই ওয়ার্ডের জমিদারি কাঁচারগলি, নতুন জমিদারি কাঁচারগলি, মুসলিম নগর ও শহীদনগর এলাকা সহ বেশ কয়েকটি সড়কের কাজ করে দিয়েছি। এছাড়া ঋষিপাড়া এলাকায় পানি সংকট নিরসনে ব্যক্তিগত উদ্যোগে পাম্প স্থাপন করে দিয়েছি। এভাবে দীর্ঘ ত্রিশ বছর যাবত আমরা পারিবারিকভাবে সমাজসেবামূলক নানা কাজের সাথে জড়িত রয়েছি। আগামীতেও আমাদের এসব কাজের ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকবে, ইনশাআল্লাহ।
এলাকাবাসীর ভালোবাসায় মুগ্ধ হয়ে সমাজসেবক জাভেদ বলেন, এলাকার মানুষকে ভালোবেসে মহান আল্লাহকে সন্তুষ্ট করার জন্য সেবামূলক কাজ করে আসছি। আর এলাকার মানুষও আমাকে খুব ভালোবাসে। তারা সব সময় আমার খোঁজখবর নেয়। আমিও বিপদে-আপদে তাদের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করি।
ওসমান পরিবারের মানবসেবার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য এ কে এম সেলিম ওসমান দানবীর হিসেবে বেশ খ্যাতি পেয়েছেন। ওনি মানবসেবা করে একমাত্র আল্লাহকে সন্তুষ্ট করার জন্য। ওনার বড় ভাই প্রয়াত নাসিম ওসমান সাহেবও মানব সেবায় সারা জীবন অতিবাহিত করেছেন। তাদের উত্তরসূরিরাও এখন সেই পথ ধরে হাঁটছে। এছাড়া নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য এ কে এম শামীম ওসমান অক্লান্ত পরিশ্রম করে মানবসেবামূলক কাজ করে যাচ্ছেন।
সমাজসেবক জাভেদের প্রশংসা করে এলাকাবাসী হারুন মিয়া বলেন, আমরা দীর্ঘদিন ধরে এই সড়ক নিয়ে দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে। আমাদের বড় ভাই এই সড়কের সংষ্কার কাজ করে দিয়েছেন। আমরা তাকে খুব খুশি হয়েছি।
আরেক এলাকাবাসী লাল মোহাম্মদ বলেন, ওনি নিজ উদ্যোগে এলাকাবাসীর কষ্টের কথা চিন্তা করে এই কাজ করে দিয়েছেন। এতে আমরা এলাকাবাসী খুব উপকৃত হয়েছি। এজন্য আমরা তাকে ধন্যবাদ জানাই।
পারভীন আরা বেগম বলেন, সড়কের বেহাল দশার কারণে আমরা সড়ক দিয়ে হাঁটা চলাফেরা করতে পারতাম না। তবে তিনি এই কাজ করে দিয়েছেন। এতে আমাদের খুব উপকার হয়েছে। আমরা তার জন্য দোয়া করি।