আড়াইহাজারে হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রাপ্ত পলাতক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১১। সোমবার (৩ জুন) আড়াইহাজার থানা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। এর আগের গত ২৮ মে নারায়ণগঞ্জ জেলার বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ১ম আদালতের বিচারক উম্মে সরাবন তহুরা ওই যাবজ্জীবনের রায় ঘোষণা করেন।
গ্রেফতারকৃত আসামির নাম আবুল হোসেন (৩০)। সে আড়াইহাজার উপজেলার চাসুরকান্দি মৃত চাঁন মিয়ার ছেলে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, গত মঙ্গলবার বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ১ম আদালতের বিচারক উম্মে সরাবন তহুরা আসামি আবুল হোসেন দ্বয়কে আড়াইহাজার থানায় দায়েরকৃত একটি হত্যা মামলায় দোষী সাব্যস্ত করে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেন। উক্ত আসামী দীর্ঘদিন আত্মগোপনে ছিল এবং বিজ্ঞ আদালতের রায় ঘোষনার পর যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড প্রাপ্ত পলাতক আসামী আবুল হোসেন পলাতক ছিল। প্রধান আসামী আবুল হোসেনকে গ্রেপ্তারের লক্ষ্যে র্যাব-১১ একটি গোয়েন্দা দল জোর তৎপরতা শুরু করে। এক পর্যায়ে র্যাব-১১ এর একটি গোয়েন্দা দল গোপন তথ্যের মাধ্যমে আসামী আবুল হোসেন (৩০) এর অবস্থান শনাক্ত করতে সক্ষম হয়। ফলশ্রুতিতে র্যাব-১১ উক্ত আসামীকে গ্রেপ্তারের উদ্দেশ্যে গোয়েন্দা নজরদারী বৃদ্ধি করে।
র্যাব-১১ মিডিয়া অফিসার (এএসপি) সনদ বড়ুয়া মামলার বিবরনে জানায়, ভিকটিম ওসমান আড়াইহাজার উপজেলার বাসিন্দা এবং সে পেশায় রিক্সাচালক ছিল। গত ২৮ নভেম্বর তারিখে গ্রেপ্তারকৃত প্রধান আসামী ও তার সহযোগী আসামীরা রিক্সাচালক ওসমান এর জবাই করা মরদেহ ইদবারদী এলাকার বিলের মধ্যে একটি পুকুরের পাশে জঙ্গলে ফেলে রাখে। পরবর্তীতে উক্ত স্থান হতে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ঘটনায় ভিকটিমের বাবা বাদী হয়ে আড়াইহাজার থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরে এই মামলার দীর্ঘ শুনানি শেষে আসামী আবুল হোসেন (৩০) এর বিরুদ্ধে হত্যা মামলা অপরাধ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় তাকে বিজ্ঞ আদালত ২৮মে তারিখে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেন।
এই অপরাধের সাথে জড়িত যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড প্রাপ্ত পলাতক প্রধান আসামী আবুল হোসেন (৩০)’কে র্যাব-১১ এর আভিযানিক গোয়েন্দা দল কর্তৃক গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছে। গ্রেফতারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনানুগ কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।