আবারও নিরপেক্ষ নির্বাচনের অঙ্গীকার করে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক (ডিসি) ও রিটানিং অফিসার মোহাম্মদ মাহমুদুল হক বলেছেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জে সকল দলের প্রার্থীদের আমরা আহ্বান করেছিলাম। জাতীয় নির্বাচন কি রকম হবে, সেই পরীকল্পনা আমরা আলোচনা করেছি। আমরা প্রার্থীদের সাথে কথা বলেছি। আমরা তাদের বলেছি, নারায়ণগঞ্জ জেলা একটি অবাধ-সুষ্ঠ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করবো।
রবিবার (২৪ ডিসেম্বর) বিকাল ৩টায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন।
রূপগঞ্জের পরিস্থিতি নিয়ে সাংবাদিকের এক প্রশ্নের জবাবে জেলা প্রশাসক বলেন, রূপগঞ্জে আমাদের নির্বাচনের আচরণ বিধিমালা দেখার জন্য বিজ্ঞ এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট কাজ করছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনি সর্বদা সচেষ্ট রয়েছে। আগামী ৭ জানুয়ারিতে যে নির্বাচনটা হবে, সেটাতে আমাদের সর্বোচ্চ চেষ্টা রয়েছে। আমাদের এ্যাকশন প্লান রয়েছে, এই নির্বাচনটা আমরা অবাধ সুষ্ঠ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন উপহার দিতে যাচ্ছি। এছাড়া আইনশৃঙ্খলা বাহীনি ঝুকিপূর্ণ যেসব কেন্দ্রে গুলোর জানাবেন সেগুলো আমরা অতিরিক্ত সতর্কতা অবল্বন করবো।
জেলা প্রশাসক ও রিটানিং অফিসার মাহমুদুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় উপস্থিত ছিলেন, আওয়ামীলীগ মনোনিত প্রার্থী একেএম শামীম ওসমান এমপি, নজরুল ইসলাম বাবু, আবদুল্লাহ আল কায়সার, জাতীয় পার্টির প্রার্থী একেএম সেলিম ওসমান এমপি, লিয়াকত হোসেন খোকা এমপি, তৃনমূল বিএনপির মহাসচিব ও নারায়ণগঞ্জ-১ ( রূপগঞ্জ ) প্রার্থী এ্যাড. তৈমূর আলম খন্দকার, সতন্ত্র প্রার্থী শাহজাহান ভূইয়াসহ দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নারায়ণগঞ্জে ৫টি আসনের সংসদ সদস্য প্রার্থীগণ ও প্রশাসনের উর্ধতন কর্মকর্তাবৃন্দ।
সভা শেষে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোহাম্মদ মাহমুদুল হক বলেন, সুষ্ঠ নির্বাচনের জন্য যে প্রশাসনিক ব্যবস্থা আছে সেটা আমরা ইতোমধ্যে নিয়েছি। নারায়ণগঞ্জের সার্বিক পরিস্থিতি অত্যন্ত সন্তষ্টজনক এখন পর্যন্ত দু একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া। সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে উল্লেখযোগ্য কোন ঘটনা ঘটেনি। আর দু-একটা যেগুলো ঘটেছে সেগুলোর আমরা এ্যাকশন নিয়েছি।