নারায়ণগঞ্জের বন্দরে উদ্ধারকৃত অজ্ঞাত লাশের পরিচয় মিলেছে। সে যুবক নয় নিখোঁজ কিশোরী। তার নাম সাথী আক্তার (১২)। হত্যাকান্ডের শিকার কিশোরী বন্দর বাড়ইপাড়া এলাকার আব্দুস ছাত্তার মিয়ার কন্যা। গত বুধবার রাতে বন্দর শাহী মসজিদ এলাকায় কিশোর গ্যাং দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনার পর থেকে নিখোঁজ ছিলো সে।
অজ্ঞাত পরিচয়ে শুক্রবার দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে বন্দর সমরক্ষেত্রের পূর্ব পাশে এক জঙ্গল থেকে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহত কিশোরী সাথী আক্তারের মা টুকুমালা জানান, বুধবার রাত সাড়ে ৮ টার দিকে বন্দর শাহী মসজিদ এলাকায় কিশোর গ্যাং দুই গ্রুপের মধ্যে তুমুল সংঘর্ষ সৃষ্টি হয়। সংঘর্ষ দেখতে নিজ বাড়ি থেকে সাথী বের হয়। গত তিনদিন নিখোঁজ থাকার পর শুক্রবার দুপুরে সমরক্ষেত্রের পাশে এক জঙ্গল থেকে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। মর্গে লাশ দেখতে গিয়ে তার পড়নে প্যান্ট গেঞ্জি দেখে চিনেছি আমার মেয়ের লাশ। কে বা কারা আমার মেয়েকে নির্মমভাবে খুন করেছে। নিহত সাথী ৮ ভাই-বোনের মধ্যে পরিবারের সপ্তম সন্তান।
বন্দর থানার এসআই অভিজিৎ বলেন, নির্জন জঙ্গলে ফেলে রাখা লাশ উদ্ধার করে, সুরতাহাল তৈরি করেছি। কিন্তু লাশ পচন ধরায় প্যান্ট খোলা সম্ভব হয়নি। চুল ছোটছোট ছেলেদের মতো। লাশ মর্গে পাঠানোর পর জানা গেছে উদ্ধারকৃত লাশ মেয়ের। শুক্রবার রাতেই তার পরিচয় পাওয়া যায়। কিশোরী বয়সের। বয়স ১২ বছর। সাথী আক্তার গত বুধবার রাতে নিজ এলাকা থেকে নিখোঁজ হন। এ হত্যাকান্ডের ঘটনায় আসামি শনাক্তের প্রক্রিয়া চলছে।