রূপগঞ্জে জঙ্গি আস্তানার প্রধান জাভেদ ওরফে আবীর ওরফে এনামুলকে গ্রেফতার করেছে অ্যান্টি টেরোরিজম ইউনিট (এটিইউ)। বুধবার (১০ জুলাই) সকালে গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন এটিইউয়ের মিডিয়া অ্যান্ড অ্যাওয়ারনেস উইংয়ের পুলিশ সুপার ব্যারিস্টার মাহফুজুল আলম রাসেল।
তিনি বলেন, নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের বরপা এলাকায় জঙ্গি আস্তানা সন্দেহে একটি চারতলা বাড়ি ঘিরে রাখা হয়। পরে সেখানে অভিযান চালিয়ে তিনটি শক্তিশালী আইডি বোমা ও বোমা তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়। তবে অভিযানের আগেই ওই আস্তানা থেকে পালিয়ে আত্মগোপনে যান জাভেদ।
পরে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। তবে কোন জায়গা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে প্রাথমিকভাবে তা জানায়নি এটিইউ।
এ বিষয়ে বুধবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত জানানো হবে বলেও জানান পুলিশ সুপার ব্যারিস্টার মাহফুজুল আলম রাসেল।
এর আগে গত ২ জুলাই সকাল থেকে ‘জঙ্গি আস্তানা’ সন্দেহে রূপগঞ্জের বরপা আড়িয়াবো এলাকার জাকির হোসেন নামের এক সৌদি প্রবাসীর বাড়ি ঘেরাও করে রাখেন এটিইউ সদস্যরা। বিকেলে বাড়ির গ্যাস ও বিদ্যুৎ লাইন বন্ধ করে পুলিশের বিশেষায়িত বাহিনী সোয়াত টিম ভেতরে প্রবেশ করে অভিযান কার্যক্রম পরিচালনা করে। অভিযানে তিনটি আইডি বোমা, চাপাতিসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়।
অভিযান শেষে অ্যান্টি টেরোরিজম ইউনিটের পুলিশ সুপার (অপারেশন) সানোয়ার হোসেন বলেন, গত মাসের (জুনের) ৮ ও ৯ তারিখে নেত্রকোনায় একটি অভিযান পরিচালনা করে জেলা পুলিশ ও আমাদের অ্যান্টি টেরোরিজম ইউনিট। পরে সেখান থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে দেশব্যাপী অভিযান পরিচালিত হয়। সেই অভিযানে কক্সবাজার থেকে একজনকে গ্রেফতার করি। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে রূপগঞ্জে কাজ শুরু হয়। প্রথমে ভবনটি শনাক্ত করে ঘেরাও করা হয়।
তিনি বলেন, ভবনটিতে ২০টি রুম রয়েছে। একেক রুমে একেক বাসিন্দা থাকেন। বিষয়টি বুঝতে আমাদের সময় লেগে যায়। একপর্যায়ে বুঝতে পারি একটি রুমে তালা দেওয়া রয়েছে। তারা (রুমের বাসিন্দা) দুদিন আগে হঠাৎ করেই চলে গেছেন বলে জানতে পারি। তবে দুজন সদস্য অবস্থান করতেন। তারা ওতপ্রোতভাবে জড়িত ছিলেন। তাদের মধ্যে একজন নতুন সদস্যদের প্রশিক্ষণ দিতেন। আইডি ও আইটি সম্পর্কিত বিষয়গুলো প্রশিক্ষণ দিতেন।