ব্যবসায়ী সাব্বির আলম হত্যা মামলায় নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি জাকির খানের মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে তার কর্মী-সমর্থকরা। এ সময় স্লোগানে স্লোগানে পুরো শহর প্রকম্পিত হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) নারায়ণগঞ্জ আদালতপাড়া থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি বের করা হয়। পরে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে ডিআইটি এলাকায় এসে বিক্ষোভ সমাবেশ করেন নেতাকর্মীরা।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, মিথ্যা মামলা দিয়ে জাকির খানকে ফাঁসানো হয়েছে। রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হয়েছেন তিনি। আমরা এ মিথ্যা মামলা অবিলম্বে প্রত্যাহার চাই। জাকির খানের মুক্তি চাই। এ সময় নেতাকর্মী ও সমর্থকদের ‘মুক্তি মুক্তি চাই, জাকির খানের মুক্তি চাই’ স্লোগানে প্রকম্পিত হয়ে ওঠে গোটা শহর।
জাকির খান মুক্তি পরিষদের ব্যানারে মিছিলটি বের করেন সংগঠনের আহ্বায়ক সলিমুল্লাহ্ করিম সেলিম, যুগ্ম আহ্বায়ক মির্জা খোকেন, মো: শাহজাহান, মো: নাসির, মো: সেন্টু, সদস্য মো: মহিউদ্দিন, মো: আহম্মদ হোসেন, সদর থানা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক লিংকন খান, যুবদল নেতা সনেট আহমেদ, জেলা মৎস্যজীবী দলের যুগ্ম আহ্বায়ক এইচএম হোসেন, মহানগর মৎস্যজীবী দলের যুগ্ম আহ্বায়ক শ্রী ঋষিকেশ মন্ডল মিঠু, জেলা যুবদলের সাবেক সহ সভাপতি পারভেজ মল্লিক, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক (ভারপ্রাপ্ত) জিয়াউর রহমান জিয়া, সদর থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক কাঞ্চন আহমেদ, লিমন ভূঁইয়া, এলকে রনী, জেলা গার্মেন্টস শ্রমিক দলের সভাপতি কাউসার আহমেদ, জেলা মৎস্যজীবী দলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মুন্সী মোহাম্মদ শাহজালাল, ফতুল্লা থানা মৎস্যজীবী দলের সভাপতি সলিমুল্লাহ্ হৃদয়, সাধারণ সম্পাদক জুনায়েদ শুভ।
জানা গেছে, আজ মঙ্গলবার ব্যবসায়ী সাব্বির আলম খন্দকার হত্যা মামলায় জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি জাকির খানকে আদালতে আনার কথা ছিল। তবে রাজধানীতে চলমান কোটা আন্দোলনের কারনে তাকে নারায়ণগঞ্জ আদালতে আনা হয়নি।
এ বিষয়ে আসামি পক্ষের আইনজীবী রাজীব মন্ডল জানান, ঢাকায় কোটা আন্দোলনের কারণে নিরাপত্তার স্বার্থে কাশিমপুর কারাগার থেকে জাকির খানকে আজ (মঙ্গলবার) আদালতে আনা হয়নি। তবে আজও আমরা আদালতে জাকির খানের চিকিৎসার আবেদন করেছি। আদালত তা মঞ্জুর করে পরবর্তী তারিখের মধ্যে জাকির খানকে চিকিৎসা দিয়ে তার প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করার জন্য কারাগার কর্তৃপক্ষকে নির্দেশনা প্রদান করেছেন।