নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে থাই গ্লাস মিস্ত্রি মোহাম্মদ হৃদয় (২৭) গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহতের ঘটনায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলায় সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি মজিবর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক হাজী ইয়াসিনসহ মোট ১০ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) সিদ্ধিরগঞ্জ থানার পুলিশ পরিদর্শক মোজাম্মেল হক মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেন। এর আগে, বুধবার (২১ আগস্ট) রাতে নিহত হৃদয়ের মা মোসা. রিতা এই হত্যা মামলা দায়ের করেন।
নিহত মো. হৃদয় সুনামগঞ্জ জেলার ধর্মপাশা থানার দুর্গাপুর গ্রামের মো. ছফেদ আলির ছেলে। তিনি সিদ্ধিরগঞ্জের আটি হাউজিং ২নং গলির জহুর মিয়ার বাড়ির ভাড়াটিয়া ছিলেন এবং পেশায় একজন থাই গ্লাস মিস্ত্রি ছিলেন।
মামলায় উল্লেখিত অন্যান্য আসামিরা হলেন:
মামলার এজাহারে নিহত হৃদয়ের মা মোসা. রিতা উল্লেখ করেন, গত ২০ জুলাই সন্ধ্যা ৬টায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় ১নং আসামি মজিবর রহমানের নির্দেশে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা ছাত্র জনতার উপর এলোপাথাড়ি গুলি চালায়। সন্ধ্যা সোয়া ৬টায় মোহাম্মদ হৃদয় প্রতিদিনের মতো কাজে বেরিয়ে ভূমি পল্লী আবাসিক এলাকার পাকা রাস্তায় পৌঁছালে তাকে গুলি করা হয়। গুলি তার কপালে লাগে এবং তিনি ঘটনাস্থলেই লুটিয়ে পড়েন। পথচারীরা তাকে চিটাগাং রোডের সুগন্ধা হাসপাতালের সামনে রাস্তার উপর রেখে চলে যায়। পরে তাঁর বোন শাহিদা বেগম তাকে বাসায় নিয়ে আসেন।
এজাহারে আরও উল্লেখ করা হয়, ৩নং আসামি নুরউদ্দিন মিয়া তার ছেলের লাশ দাফনের জন্য চাপ প্রয়োগ করেন। ভয় ও আতঙ্কের কারণে মো. হৃদয়ের মৃতদেহ সিদিরগঞ্জপুল মিজমিজিপাইনাদি কবরস্থানে দাফন করা হয়।