দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকার পক্ষে গণসংযোগে নারায়ণগঞ্জের কোথাও দেখা যায়নি মেয়র আইভীকে। প্রচারণা শুরুর পর থেকে মিডিয়ার সামনেও আসেননি এই নৌকার মেয়র। অবেশেষে তাকে পাওয়া গেছে রূপগঞ্জে। শনিবার (৩০ ডিসেম্বর) বিকেলে মেয়র আইভী সরকারী প্রটোকল নিয়ে গিয়েছিলেন সেখানকার নৌকার প্রার্থী বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গাজী গোলাম দস্তগীরের বাসভবনে। খবর পেয়ে সেখানে উপস্থিত হলেও প্রথমে গণমাধ্যমের সাথে কথা বলতে চাননি মেয়র। পরে গণমাধ্যম কর্মীদের অনুরোধে কথা বলতে রাজী জন।
এসময় সিটি করপোরেশনের মেয়র হয়েও নির্বাচনকালিন সময়ে রূপগঞ্জে আসার ব্যাখায় মেয়র বলেন, ‘আসলে সংগত কারণেই আমি ভাইয়ের (মন্ত্রী গাজী) পক্ষে নির্বাচনে নামতে পারছি না। তবে শুভকামণা করতেই পারি। আর এটা যেহেতু আমার ভাইয়ের বাড়ি, আমি তো আসতেই পারি। এজন্যই আসা।’
তিনি বলেন, ‘আমি এখানে কোন প্রচারণার জন্য আসি নাই। গাজী ভাইয়ের স্ত্রী তারাব পৌরসভার মেয়র হাসিনা গাজী শারীরিক ভাবে অসুস্থ। আমি তাকে দেখতে এসেছি। তার সাথে আমার দীর্ঘদিনের সম্পর্ক। তাছাড়া আমি এখানে পূর্বাচল থেকে প্রায় সময়ই আমরা সিটি করপোরেশনের জন্য গাছ কিনতে আসি। আমি গত চারদিন আগেও এখান থেকে প্রচুর গাঠ এবং ফুলের টব নিয়েছিলাম। আজকেও এসেছিলাম পূর্বাচলে, এখান দিয়ে যাওয়ার সময় ভাবলাম যে, ভাবির সাথে (হাসিনা গাজী) দেখা করে কুশল বিনিময় করে যাই। ভাই এবং ভাবিকে (মন্ত্রী গাজী ও তার স্ত্রী) সত্যিকার অর্থেই আমি আমার নিজের আপন ভাই এবং ভাবি মনে করি। এজন্যই আসা। আসার পর ভাবির সাথে দেখা হলেও ভাইয়ের সাথে দেখাই হলো না। ‘
নৌকার ক্যাম্প পোড়ানোর বিষয়ে মেয়র বলেন, ক্যাম্প পোড়ানোর কালচার বাজে জিনিস। তাও আবার নৌকার ক্যাম্প! যেখানে মাননীয় প্রাধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সারা বাংলাদেশের মধ্যে উন্নয়নের জোয়ার তুলেছে এবং নারায়ণগঞ্জেও ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। বিশেষ করে রূপগঞ্জে গাজী ভাই নিজ অর্থে বহু উন্নয়ন করেছেন। সরকার তো করেছেই, আবার গাজী ভাই এবং তার স্ত্রী পৌরসভার মেয়র হিসেবেও বহু উন্নয়ন করেছে। যারা উন্নয়ন করে মানুষের পাশে থাকে, মানুষের কল্যাণে কাজ করে, সেখানে এই সময়ে এসে নৌকার ক্যাম্প পোড়ানো! এত বড় দুঃসাহস কার হলো। কেন করলো, এটা আমি মনে করি যে, এটা প্রশাসনের খতিয়ে দেখার দরকার আছে। এখানে পরিবেশ পরিস্থিতি কারা খারাপ করতে চাচ্ছে তা খুজে বের করা দরকার। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শান্তিপূর্ণ ভাবে নির্বাচন চাচ্ছে। আজকে নির্বাচন শেষ হয়ে যাবে, কালকেই কিন্তু আমরা একজন আরেক জনকে দেখবো। সুতরাং সহিংসতা পরিহার করতে হবে। জনগণ যাকে খুশি তাকে ভোট দিবে।