শনিবার ৩০শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ রাত ৩:৪৪
শিরোনাম :
অনলাইনে ঘরে বসে মিলবে জমির খতিয়ান: ভূমি উপদেষ্টা হত্যা মামলায় ইয়ার্ন মার্চেন্ট এসোসিয়েশনের সভাপতি গ্রেপ্তার আওয়ামী লীগের নাম দিয়েছে আফসোস লীগ: খান সোহেল আগামীর বাংলাদেশে আর কোনো অন্যায়-অবিচার হবে না: আব্দুল জব্বার ৫শ সনাতন পরিবারকে বস্ত্র বিতরণ ও আর্থিক উপহার দিলো দিদার খন্দকার বাংলাদেশ থেকে পোশাকশিল্প সরিয়ে নেওয়ার ষড়যন্ত্র হচ্ছে: হাতেম মামলার তদন্ত না করে পুলিশ অহেতুক কাউকে গ্রেফতার করবে না: নবাগত এসপি আড়াইহাজারে সাইফ হত্যার ঘটনায় শেখ হাসিনা-শামীম সহ ৯৪ জন আসামি শামীম ওসমানের ক্যাডার বাহিনী জিম্মি করে রেখেছিলো: গিয়াসউদ্দিন আড়াইহাজার থানার ধ্বংস্তুপ পরিদর্শন করলেন পুলিশ সুপার রূপগঞ্জে ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক অবরোধ করে শ্রমিকদের বিক্ষোভ এক মাসের আয় বন্যার্তদের দিলেন সিয়াম-অবন্তি দম্পতি আমরা প্রতিবাদী-বিপ্লবী, হার না মানা নির্ভীক যোদ্ধা : চমক বন্যার্তদের সর্বোচ্চ সহায়তা করতে চাইলেন জয়া আহসান প্রিয়তমা’র পর নতুন সিনেমা ‘বরবাদ’ নিয়ে শাকিব খান ও ইধিকা পাল ঢাকা-১০ আসনের সাবেক এমপি ফেরদৌস আহমেদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা ২১ হলে মুক্তি পেল ডিপজলের সিনেমা হত্যা মামলায় সাকিবকে আসামি, মিথিলার ‘দুঃখ প্রকাশ’ রাওয়ালপিন্ডি টেস্ট: সাদমান-মুমিনুলের ব্যাটে লড়ছে বাংলাদেশ পাকিস্তান হাইকমিশনারের সঙ্গে বিএনপির বৈঠক

নারায়ণগঞ্জে জয়ের পথে তিন এমপি, হাড্ডাহাড্ডি ২টিতে

এনএনডি টিভি
  • আপডেট : জানুয়ারি, ৭, ২০২৪, ১:৪০ পূর্বাহ্ণ
  • ৭০ ০৯ বার দেখা হয়েছে

আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি ও তাদের শরীক দল অংশ গ্রহণ করেনি। ফলে নারায়ণগঞ্জের অনেক আসনে হেভিওয়েট প্রার্থী নেই। নারায়ণগঞ্জ জেলার ৫টি আসনের মধ্যে (নারায়ণগঞ্জ-২, নারায়ণগঞ্জ-৪ ও নারায়ণগঞ্জ-৫) এই তিনটি আসনে বর্তমান সংসদ সদস্যদের বিপরীতে শক্ত কোন প্রতিদ্বন্দ্বী নেই। ফলে ভোটের লড়াইয়ে তারা কোন রকম বাধা ছাড়া সহজ জয় পেতে যাচ্ছেন বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। এছাড়া নারায়ণগঞ্জ-১ (রূপগঞ্জ) আসনে আওয়ামী লীগের মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজীর প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে দুইজন হেভিওয়েট প্রার্থী রয়েছে। আর নারায়ণগঞ্জ-৩ (সোনারগাঁ) আসনে লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী ও বর্তমান সংসদ সদস্য লিয়াকত হোসেন খোকার প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে ভোটের লড়াইয়ে নেমেছে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ও সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুল্লাহ আল কায়সার হাসনাত। ফলে ওই দুই আসনে ভোটের মাঠে বেশ হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে বলে মনে করছেন ভোটার সহ সংশ্লিষ্টরা।

 

জেলার ৫টি আসনে ৩৪ জন প্রার্থী রয়েছে। এর মধ্যে নারায়ণগঞ্জ-১ (রূপগঞ্জ) আসনে সবচেয়ে বেশি হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে। এই আসনে আওয়ামী লীগের দলীয় নৌকা প্রতীকের প্রার্থী বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী (এমপি) প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে হেভিওয়েট প্রার্থীদের তালিকার শীর্ষে রয়েছে তৃণমূল বিএনপির দলীয় সোনালী আঁশ প্রতীকের প্রার্থী ও দলটির মহাসচিব অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকার ও স্বতন্ত্র প্রার্থী ও রূপগঞ্জ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান ভূঁইয়া। এই তিন প্রার্থীর মধ্যে ভোটের মাঠে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে। ইতোমধ্যে তাদের মধ্যে চরম বাকযুদ্ধ সহ অভিযোগ পাল্টা অভিযোগের অন্ত নেই।

 

দলীয় ও স্থানীয় সূত্র বলছে, মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজীর নৌকার প্রার্থী হয়ে উন্নয়নের নানা ফিরিস্তি তুলে ধরছেন। ২০০৮ সাল থেকে টানা তিন মেয়াদে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে নিজ আসনে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছেন তিনি। ফলে নির্বাচনী প্রচার প্রচারণা ও সভা-সমাবেশে বেশ সাড়া পাচ্ছেন। সেদিক থেকে কিছুটা পিছিয়ে আছেন তৃণমূল বিএনপির মহাসচিব তৈমুর আলম খন্দকার। বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত এই নেতার এখনো তেমন কোন দলীয় ভোট ব্যাংক নেই। কারণ দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে তৃণমূল বিএনপিতে যোগদান করেছেন। এখনো সেভাবে দল গুছাতে পারেননি। আর রূপগঞ্জ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান ভূইয়া দলীয় মনোনয়ন বঞ্চিত হয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন। ফলে আওয়ামী লীগের হাইকমাণ্ডের সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা তাকে ভোট দেবে না। তবে তার একনিষ্ট কর্মী ও সমর্থকরা তাকে সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে। নির্বাচনী নানা সমীকরণ, ভোটের হিসেব কষে এবং ভোটারদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, এই আসনে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী এগিয়ে আছে।

 

বিগত তিন মেয়াদে এই আসনে উন্নয়নমূলক কাজ করে জনগণের হৃদয়ে জায়গা করে নিয়েছেন বলে দাবি করছেন বর্তমান সংসদ সদস্য এবং বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী। উন্নয়নের ফিরিস্থি তুলে ধরে গোলাম দস্তগীর গাজী বলেন, রূপগঞ্জে জনগণের কোনো চাহিদা নাই। রাস্তা ঘাট, স্কুল কলেজ সবাই এখানে হয়েছে। সুতরাং আমাকে ভোট না দেয়ার কারণ দেখি না। নির্বাচনে জয়ের বিষয়ে আমি শতভাগ আশাবাদি।

 

এছাড়া এই আসনে আরও ৬ জন প্রার্থী রয়েছেন। তারা হলেন- জাতীয় পার্টির দলীয় প্রতীক লাঙ্গল এর প্রার্থী মো. সাইফুল ইসলাম, স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ঈগল প্রতীকে গাজী গোলাম মর্তুজা, স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে আলমিরা প্রতীকে হাবিবুর রহমান, জাকের পার্টির দলীয় গোলাপ ফুল প্রতীকের প্রার্থী মো. জোবায়ের আলম, স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ট্রাক প্রতীকে মো. জয়নাল আবেদীন চৌধুরী, ইসলামী ফ্রন্ট বাংলাদেশ থেকে দলীয় চেয়ার প্রতীকে এ কে এম শহিদুল ইসলাম। এদের মধ্যে কয়েকজন ডামি প্রার্থী রয়েছে। আর বাকিরা এখনো সেভাবে শক্ত অবস্থান তৈরি করতে পারেনি।

 

নারায়ণগঞ্জ-৩ (সোনারগাঁ) আসনে দীর্ঘ ১০ বছর পর নৌকার প্রার্থী দেয়া হয়েছে। এতে ভোটের মাঠে লড়াই জমে উঠেছে। এই আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য ও জাতীয় পার্টি মনোনীত প্রার্থী লিয়াকত হোসেন খোকার সাথে শক্তিশালী প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে ভোটের মাঠে রয়েছে আওয়ামী লীগের মনোনীত নৌকা প্রতীকে প্রার্থী আব্দুল্লাহ আল কায়সার হাসনাত।

 

তবে বাকি ৬ প্রার্থী সেভাবে আলোচনায় নেই। তারা হলেন-বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশন থেকে ফুলের মালা পেয়েছেন মজিবুর রহমান মানিক, বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি থেকে একতারা প্রতীক পেয়েছেন মোহাম্মদ আসলাম হোসেন, বিএনএম থেকে নোঙ্গর প্রতীক পেয়েছেন এ বি এম ওয়ালিউর রহমান খান, বিকল্প ধারার বাংলাদেশ থেকে কুলা প্রতীক পেয়েছেন নারায়ণ দাস, মুক্তিজোট থেকে ছড়ি প্রতীক পেয়েছেন মো. আরিফ, স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ঈগল প্রতীক পেয়েছেন এ এইচ এম মাসুদ।

 

দলীয় নেতাকর্মী সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘ দিন পর নৌকার প্রার্থী পেয়ে স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা একাট্টা হয়েছে। সবাই এক হয়ে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী কে জেতাতে কাজ করছে। অপরদিকে টানা দুই মেয়াদে সংসদ সদস্যের দায়িত্ব পালন করেছেন জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য লিয়াকত হোসেন খোকা। ফলে দীর্ঘ ১০ বছরে এই আসনে তিনি বেশ গ্রহণযোগ্যতা তৈরি করেছেন। এমনকি আওয়ামী লীগের অনেক নেতাকর্মীদের সে সময় তার সাথে সখ্যতা দেখা গেছে। তবে ভোটের সমীকরণে এই আসনে কে এগিয়ে আছে তা বলা একেবারে মুশকিল। তবে বেশ জমপেশ লড়াই হবে। যদিও এখন পর্যন্ত এই আসনে তেমন কোন বাকযুদ্ধ সহ অপ্রীকরণ ঘটনা ঘটেনি।

 

নারায়ণগঞ্জ-২ (আড়াইহাজার) আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার প্রতীকের মনোনয়ন পেয়ে সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম বাবু বেশ ফুরফুরে মেজাজে রয়েছেন। কারণ তার আসনে বড় কোন রাজনৈতিক দলের তেমন কোন হেভিওয়েট প্রতিদ্বন্দ্বী নেই। এই আসনে নৌকার প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে মাঠে রয়েছেন আরও ৪ প্রার্থী। তারা হলেন- তৃণমূল বিএনপি থেকে দলীয় প্রতীক সোনালী আঁশ পেয়েছেন মো. আবু হানিফ হৃদয়, জাতীয় পার্টির দলীয় প্রতীক লাঙ্গল পেয়েছেন আলমগীর সিকদার লোটন, জাকের পার্টি থেকে গোলাপ ফুল প্রতীক পেয়েছেন শাহজাহান, স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ঈগল প্রতীক পেয়েছেন হাজী মো. শরিফুল ইসলাম।

 

দলীয় ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নৌকার প্রার্থী নজরুর ইসলাম বাবু টানা তিন মেয়াদে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে দায়িত্ব পালন করছেন। ফলে তিনি এই আসনে বেশ জনপ্রিয়। এই আসনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর সাথে ভোটের লড়াইয়ে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করার মত তেমন কেউ নেই। তবে জাতীয় পার্টির প্রার্থী আলমগীর সিকদার লোটন প্রচার প্রচারণা চালিয়ে গেলেও ভোটের সমীকরণে বেশ পিছিয়ে আছে। ফলে নৌকার প্রার্থী নজরুর ইসলাম বাবু অনেকটা সহজ জয়ের পথে এগিয়ে যাচ্ছেন। ভোটের সমীকরণ বলছে, নৌকার প্রার্থী বিপুল ভোটের ব্যবধানে জয়লাভ করবেন।

 

নারায়ণগঞ্জ-৪ (ফতুল্লা ও সিদ্ধিরগঞ্জ) আসনে আওয়ামী লীগের মনোনীত নৌকা প্রতীকের মনোনয়ন পেয়ে সংসদ সদস্য এ কে এম শামীম ওসমান বেশ স্বস্তিতে রয়েছে। এই আসনের নৌকা প্রতীকের বিরুদ্ধে শক্ত কোন প্রতিদ্বন্দ্বী নেই। নৌকা প্রতীকের প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে রয়েছে ৭ জন। তারা হলেন- তৃণমূল বিএনপি থেকে দলীয় প্রতীক সোনালী আঁশ পেয়েছেন মো. আলী হোসেন, সমাজতান্ত্রিক দল জাসদ থেকে মশাল প্রতীক পেয়েছেন মো. সৈয়দ হোসেন, জাকের পার্টি থেকে গোলাপ ফুল পেয়েছেন মো. মুরাদ হোসেন জামাল, বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি থেকে একতারা প্রতীক পেয়েছেন মো সেলিম আহমেদ, ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ থেকে চেয়ার প্রতীক পেয়েছেন মো. হাবিবুর রহমান, ন্যাশনাল পিপলস পার্টি থেকে আম প্রতীক পেয়েছেন মো. শহীদ উন নবী, বাংলাদেশ কংগ্রেস থেকে ডাব প্রতীক পেয়েছেন গোলাম মোর্শেদ রনি।

 

এই আসনে নৌকার প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে একমাত্র প্রচারণায় দেখা গেছে বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি থেকে একতারা প্রতীক পেয়েছেন মো সেলিম আহমেদকে। এই প্রার্থী সেলিম আহমেদ বলেন, প্রতিদ্বন্দ্বী শক্তিশালী হোকনা কেন, শেষ পর্যন্ত লড়াই করে যাবো।

 

এদিকে বিজয় নিশ্চিত জেনে ফুরফুরে মেজাজে রয়েছেন নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ও সংসদ সদস্য এ কে এম শামীম ওসমান। তিনি বলেন, আমি ভোট চাইবো না। ভোট চাইতে হবে কেন। আপনারা ফুল গাছ লাগাবেন নাকি কাটা গাছ লাগাবেন সেটা আপনাদের চিন্তা করতে হবে।

 

দলীয় সূত্র বলছে, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতা এ কে এম শামীম ওসমান টানা দুই মেয়াদে ক্ষমতায় রয়েছে। এর আগেও ১৯৯৬ সালে আরও এক মেয়াদে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন তিনি। তার আসনে রেকর্ড পরিমান উন্নয়ন করেছেন বলে এই সংসদ সদস্য দাবি করে আসছেন। বিএনপি নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করায় তেমন কোন শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলনা। এছাড়া জাতীয় পার্টি থেকে দলটির যুগ্ম মহাসচিব ছালাউদ্দিন খোকা মনোনয়ন পত্র জমা দিলেও শেষ সময়ে এসে প্রার্থীতা প্রত্যাহার করে নেয়। আর বাকি প্রার্থীদের অনেকে নতুন মুখ রয়েছে, আবার অনেক প্রার্থীকে ভোটাররা চেনেনা বলেও জানা গেছে। ফলে বিপুল ভোটের ব্যবধানে তিনি জয়লাভ করবেন বলে একাদিক সূত্রে জানা গেছে।

 

এই জেলার ৫টি আসনের মধ্যে একমাত্র নারায়ণগঞ্জ-৫ (শহর ও বন্দর) আসনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী দেওয়া হয়নি। এখানে আওয়ামী লীগের শরীক দল জাতীয় পার্টির মনোনীত লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী ও সংসদ সদস্য এ কে এম সেলিম ওসমান ভোটের মাঠে রয়েছে। তার প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে রয়েছে আরও চার জন প্রার্থী। তারা হলেন- ইসলামি ফ্রন্ট বাংলাদেশ থেকে দলীয় প্রতীক চেয়ার পেয়েছেন এ এম এম একরামুল হক, জাকের পার্টি থেকে গোলাপ ফুল প্রতীক পেয়েছেন মোর্শেদ হাসান, তৃণমূল বিএনপি দলটির দলীয় প্রতীক সোনালী আঁশ পেয়েছেন মো. আব্দুল হামিদ ভাষানী ভূঁইয়া, বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি থেকে একতারা প্রতীক পেয়েছেন ছামসুল ইসলাম।

 

দলীয় ও স্থানীয় সূত্র বলছে, দীর্ঘ ১০ বছর ধরে এই আসনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী এ কে এম সেলিম ওসমান সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হয়ে আসছেন। বিএনপি ও আওয়ামী লীগের কোন প্রার্থী এই আসনে নেই। এমনকি শক্ত কোন স্বতন্ত্র প্রার্থী নেই তার আসনে। এছাড়া বাকি যে ৪ জন প্রার্থী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছেন তারা ধোপে টিকবেনা। ভোটের সমীকরণে এসব প্রার্থীরা অনেক পিছিয়ে আছে। এমনকি এসব প্রার্থীদের অনেককে ভোটাররা চিনে না।

 

 

খবরটি শেয়ার করে আপনার বন্ধুকে পড়ার সুযোগ করে দিন

More News Of This Category

পুরাতন খবর

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০
১১১৩১৫১৬
১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭৩০  
© All rights reserved © 2023 এনএনডি টিভি
Design & Developed BY:
ThemesCell