নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে পরিবারের সদস্যদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে দুই বাড়িতে ডাকাতি হয়েছে। এ সময় ডাকাতরা ওই বাড়ি থেকে স্বর্ণলংকার, মোবাইল সেট, নগদ টাকাসহ প্রায় ২২ লাখ টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে যায়।
তাদের বাধা দেওয়ায় ডাকাতরা বশিরগাঁও গ্রামের বাড়ির গৃহকর্তাসহ ছয়জনকে কুপিয়ে জখম করেছেন।
সোমবার (৬ মে) দিবাগত রাত দেড়টার দিকে উপজেলার জামপুর ইউনিয়নের বশিরগাঁও ও আড়াইটার দিকে নোয়াগাঁও ইউনিয়নের গোবিন্দপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। মঙ্গলবার (৬ মে) বিকেলে এ ঘটনায় বাড়ির গৃহকর্তা জাহাঙ্গীর আলম ও শরীফ মিয়া বাদী হয়ে পৃথকভাবে সোনারগাঁ থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।
জানা যায়, উপজেলার জামপুরে ইউনিয়নের বশিরগাঁও গ্রামের জাহাঙ্গীর আলম বাড়িতে গরু পালন করে ও রিকশা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করে। তার ছেলে সাব্বির আহম্মেদ রূপগঞ্জের গাউছিয়ায় বাস কাউন্টারে চাকরি করেন। সাব্বির তার স্ত্রীকে নিয়ে গাউছিয়ায় বসবাস করেন। জাহাঙ্গীর আলমের স্ত্রী গত কয়েকদিন ধরে অসুস্থ থাকায় তার ছেলে ও ছেলের বউ বশিরগাঁও গ্রামের তাদের বাড়িতে সোমবার তার স্ত্রীকে দেখতে আসেন। সোমবার রাতে বাড়ির সবাই খাওয়া-দাওয়া শেষে ঘুমিয়ে পড়লে রাত দেড়টার দিকে ১০-১২ জনের মুখোশধারী ডাকাত সিমেন্টের পিলার দিয়ে ঘরের দরজা ভেঙে ঘরে প্রবেশ করেন। এসময় বাড়ির সবাই ঘুম থেকে জেগে উঠলে সবাইকে হাত পা বেঁধে ছেনা ও রামদা দিয়ে জিম্মি করে ফেলেন। পরে ডাকাত টাকা ও স্বর্ণলংকার দিতে বললে তাদের ডাকাতি কাজে বাধা দিলে ডাকাতরা বাড়ির গৃহকর্তা জাহাঙ্গীর আলম (৫৫), অসুস্থ গৃহকর্তী হাওয়া বেগম (৪৫), ছেলে সাব্বির আহমেদ (২০), ছেলের বউ লামিয়া আক্তার (১৮), মেয়ে ছানিয়া আক্তার (১৬) ও নাদিয়া আক্তার ( ১৫) ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করেন।
ডাকাতরা প্রায় ২ ভরি ওজনের স্বর্ণলংকার, ৪টি মোবাইল সেট, নগদ ১৬ হাজার টাকাসহ প্রায় আড়াই লাখ টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে পালিয়ে যায়। পরে বাড়ির সবাই আহতাবস্থায় স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নেয়।
অপরদিকে নোয়াগাঁও ইউনিয়নের গোবিন্দপুর গ্রামের শরীফ মিয়া বাড়িতে সোমবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে ডাকাত দল হানা দিয়ে ১৪ ভরি স্বর্ণ ও নগদ ৫ লাখ টাকাসহ ২০ লাখ টাকার মূল্যের মালপত্র লুট করে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় শরীফ মিয়া বাদি হয়ে সোনারগাঁ থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।
সোনারগাঁ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামরুজ্জামান জানান, ডাকাতির ঘটনায় থানায় পৃথক অভিযোগ নেওয়া হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।