হঠাৎ করেই শহরের রাইফেল ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন ডাকলেন নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের নৌকার প্রার্থী শামীম ওসমান। পাশে ছিলেন জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ। খবরটি যখন সাংবাদিকদের সামনে তুলে ধরলেন তার আগ পর্যন্ত কেউই জানতেন না বিষযটি।
সংবাদ সম্মেলনে অনেকটা আবেগাপ্লত হয়েই শামীম ওসমান বলেন, আমার কাছে হঠাৎ ফোন আসছে। জানানো হলো, শেখ হাসিনা ৪ জানুয়ারী দুপুর আড়াইটায় নারায়ণগঞ্জে আসবেন । আওয়মী লীগের শেষ নির্বাচনী জনসভা নারায়নগঞ্জে হবে। একেএম সামসুজ্জোহা ক্রীড়া কমপ্লেক্স মাঠে জনসভাটি আয়োজন করা হবে। এসময় আবেগপ্রবন হয়ে শামীম ওসমান বলেন, এই সিদ্ধান্তের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা আরও একবার নারায়নগঞ্জকে মুল্যায়ন করলেন। তিনি নারায়নগঞ্জকে অনেক দিয়েছেন। আর কিছু চাওয়ার নেই তার কাছে। সারা দেশে নির্বাচনী প্রচারণার শেষ সমাবেশ ঢাকায় না করে আমাদের এখানে করবেন প্রধাণমন্ত্রী। আমাদের যেভাবে তিনি মূল্যায়ন করেছেন এটায় আমরা গর্ববোধ করছি।
শামীম ওসমান আরও বলেন, এই স্টেডিয়ামে ঈদের জামাতে এক লাখ পঁচিশ হাজার লোক নামাজ পড়তে পারেন। সে হিসেবে প্রায় আড়াই লাখ লোকের এখানে জায়গা হবে। পাশাপাশি রাস্তাও আছে। এখানে আমাদের সাধারণ সম্পাদকসহ আরও কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ থাকবেন। আমি স্বাধীনতার পক্ষের সকল শক্তিকে বলব সবাই যেন এদিন আসে। স্মরণকালের বৃহত্তর সমাবেশ আমরা নারায়ণগঞ্জে করতে পারব ইনশাআল্লাহ।
নৌকার মেয়র আইভী কেন নির্বাচনী মাঠে নেই? সাংবাদিকদের এই প্রশ্নের জবাবে শামীম ওসমান বলেন, ব্যক্তিগত কারণে হয়ত অনেকে মাঠে নেই। জেলা ও মহানগরের সভাপতি, মেয়র আইভী হয়ত কোনো কারণে নামেননি। তবে চার তারিখে যখন জাতির পিতার কন্যা আসবেন সেদিন সবাই আসবেন। সবাই একই মঞ্চে উঠবেন আশা করছি। আনোয়ার সাহেব ও আব্দুল হাই সাহেব আমার বড় ভাই। তারা জানেন হয়ত আমাদের এলাকায় সাহায্য করার দরকার নেই। যেখানে সাহায্য দরকার তারা সেখানে গেছেন। আমি আমার নির্বাচনী প্রচারণায় সবাইকেই চাই, শুধু আইভী কেন, আমাদের মাঝে কোন বিভেদ নেই।
তিনি আরও বলেন, আমি এর আগে পাঁচটি নির্বাচন করেছি। এবার সবচেয়ে বেশি উৎসাহ দেখেছি। সাধারণ মহিলারাও বলে মানবাধিকারের প্রশ্ন আমার দেশে আসে, ফিলিস্তিনে আসে না। বাংলাদেশের মানুষ এখন অনেক স্মার্ট।
সাংবাদিকদের অপর একটি প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, জাতির পিতার কন্যা এ সিটটি খালি রেখেছেন সেলিম ওসমান বা শামীম ওসমানের জন্য না। এটা রেখেছেন আমার বাবা, দাদা, আমার বড় ভাই এখান থেকে অতীতে নির্বাচন করেছেন। তাদের প্রতি ভালবাসা থেকেই এ সিটটি খালি রাখা হয়েছে বলে আমি মনে করি। আমার বড় ভাই সেলিম ওসমানকেও তিনি পছন্দ করেন।
সংবাদ সম্মেলন শেষে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান চন্দন শীল বলেন, জাতির জনকের কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নারায়ণগঞ্জে আসছেন ৪ জানুয়ারী। একেএম শামসুজ্জোহা ক্রীড়া কমপ্লেক্স মাঠে নির্বাচনী জনসভায় ভাষন দেবেন তিনি। আমাদের নেতা শামীম ওসমানের কাছে এখবর জানতে পেরে আমরা খুব খুশী। উৎফুল্ল নারায়ণগঞ্জবাসী। ঢাকায় নির্বাচনী শেষ সমাবেশ না করে নারায়ণগঞ্জে করছেন। এটা আমাদের জন্য অনেক বড় পাওয়া।
সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এড. আবু হাসনাত মো শহীদ বাদল (ভিপি বাদল), মহানগর আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি চন্দন শীল, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এড খোকন সাহা, মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহ নিজাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জি.এম. আরমান, সাংগঠনিক সম্পাদক জাকিরুল আলম হেলাল, সাহাদাৎ হোসেন সাজনু প্রমুখ।