নারায়ণগঞ্জ ফতুল্লার গাবতলী এলাকায় বেশ কয়েকটি দোকানপাটে ভাংচুর, এলাকাবাসীকে মারধর করাসহ তান্ডব চালিয়েছে কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা। এসময় এলাকায় ভীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হলেও এলাকাবাসী প্রতিরোধ গড়ে তুললে কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা পালিয়ে যায় বলে জানা গেছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে অপরাধীদের গ্রেফতার করতে অভিযান পরিচালনা করাসহ হামলার কারণ সম্পর্কে খোঁজ নেয় পুলিশ। তবে, এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত হামলার সুস্পষ্ট কারণ জানাতে পারে নি তারা।
স্থানীয়রা জানায়, সোমবার রাত সোয়া সাতটার দিকে ৪০ থেকে ৫০ জনের একটি সংঘবদ্ধ কিশোর গ্যাং বাহিনী অতর্কিতভাবে হামলা চালায় গাবতলী এলাকায়। স্থানীয় ওয়ার্ড মেম্বার কামরুল হাসানের বাড়ির আশেপাশের বেশ কয়েকটি দোকানে হামলা ও ভাংচুর করা সহ আশেপাশের সকলকে মারধর করে তারা। তাদের হাতে ছিলো লোহার রড, লোহার পাইপ, ধারালো ছুরি, কেচিসহ অন্যান্য দেশীয় অস্ত্র। এরা ইসদাইর কাপুইরা পট্টি এলাকার হাসান-হোসেন বাহিনীর সদস্য বলেও জানায় স্থানীয়রা
প্রত্যক্ষদর্শী সুত্রে জানা গেছে, সন্ধ্যার পরপরই হঠাৎ করে গাবতলী মোড়ের মনিরের হোটেলের কর্মচারী আব্দুল্লাহ, গার্মেন্টস শ্রমিক সেলিম ও মামুনের উপর হামলা চালায় একদল স্বশস্ত্র সন্ত্রাসী বাহিনী। সন্ত্রাসীদের সকলেই কিশোর বয়সী এবং তারা আব্দুল্লাহকে মারধর করা সহ আশেপাশে যাকে পেয়েছে তাকেই বেদম পিটিয়েছে সন্ত্রাসীরা।
মারধরের শিকার আব্দুল্লাহ, সেলিম ও মারুফ জানায়, শবে বরাতের রাতে মাসদাইর সিটি কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে দুই গ্রুপের সংঘর্ষ লাগে। এসময় আমরাসহ উপস্থিত অনেকেই সেই ঘটনা দেখেছিলাম। আমাদেরকে প্রতিপক্ষ গ্রুপের সদস্য মনে করে এই হামলা চালায় বলে জানায় তারা।
খবর পেয়ে এনায়েতনগর ইউনিয়ন পরিষদের ৯নং ওয়ার্ডের মেম্বার কামরুল হাসান এলাকাবাসীকে নিয়ে এগিয়ে আসলে কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। এ বিষয়ে কামরুল হাসান জানান, আমি আমার অফিসের মধ্যেই ছিলাম। হঠাৎ করে সন্ধ্যায় সোয়া সাতটার দিকে মানুষের হৈ চৈ শুনতে পেয়ে অফিস থেকে বেরিয়ে দেখি ৪০/৫০ জনের একটি গ্রুপ দেশীয় অস্ত্র-সস্ত্র নিয়ে মানুষকে পেটাচ্ছে এবং দোকানপাটে ভাংচুর করছে। এসময় আমি সহ এলাকাবাসী এগিয়ে গেলে তারা পালিয়ে যায়।
এদিকে, ঘটনাস্থলে উপস্থিত হওয়া ফতুল্লা থানা এস আই ইমরান জানান, খবর পেয়ে ওসি স্যারের নির্দেশে আমি গাবতলীতে যাই, কিন্তু আমি যাওয়ার আগেই অপরাধীরা চলে যেতে সক্ষম হয়। হামলার কারণ সম্পর্কে কিছু জানাতে পারেন নি এই পুলিশ কর্মকর্তা।