রূপগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী হাবিবুর রহমান হাবিবকে গাজী পরিবারের মাই ম্যান ও ক্যাশিয়ার উল্লেখ করে তীব্র সমালোচনা করেছেন জাপান-বাংলাদেশ গ্রুপের চেয়ারম্যান সেলিম প্রধান। শুক্রবার (১৭ মে) দুপুরে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার ভুলতা এলাকা সংলগ্ন একটি আড়তের ব্যবসায়ীদের সাথে আলোচনা সভা শেষে তিনি ক্ষোভ ঝারেন।
চেয়ারম্যান প্রার্থী হাবিবুর রহমানের সমালোচনা করে জাপান বাংলাদেশ গ্রুপের চেয়ারম্যান সেলিম প্রধান বলেন, বালু হাবিব কে? সে হলো গাজী পরিবারের ক্যাশিয়ার। এই বালু হাবিব এক সময় ফেন্সিডিল (মাদক) বিক্রি করতো, লুঙ্গির ভেতরে প্যাচিয়ে রেখে বিক্রি করতো। আর এখন বালু হাবিব হয়ে গেছে। সে আবার নাকি উপজেলা চেয়ারম্যান পদে দাঁড়িয়েছে। বালু হাবিব তার হলফনামায় আয় দেখিয়েছে ৬ কোটি টাকা। এই ১৫ বছরে সে রূপগঞ্জের বালুর ব্যবসা, চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি করেছে সে। এতে বুঝা যায়, এই হলফনামায় লেখা ৬ কোটি টাকা সম্পূর্ণ মিথ্যা। সে শত শত কোটি টাকার মালিক। এদের মত লোক যদি চেয়ারম্যান হয় তাহলে রূপগঞ্জবাসীর কপাল শেষ।
চেয়ারম্যান প্রার্থী গাজী পরিবারের মাই ম্যান উল্লেখ করে তিনি বলেন, আওয়মাী লীগ থেকে বার বার একটা কথা বলা হচ্ছে। মাই ম্যান কোন ব্যক্তি নির্বাচনে থাকতে পারবে না। কোন এমপি কোন প্রার্থীকে পাশ করানোর জন্য উঠে পড়ে লাগবে, এটাকে মাই ম্যান বলা হয়। আমি চ্যালেঞ্জ করে বলছি, হাবিব ওরফে বালু হাবিব শত ভাগ মাই ম্যান। সে গাজী পরিবারের মাই ম্যান।
চেয়ারম্যান প্রার্থী চাঁদাবাজি করছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমার পৈত্রিক সম্পত্তিতে গড়ে ওঠা জাপান-বাংলাদেশ আড়ৎ এর ব্যবসায়ীরা ওদের ভয়ে শঙ্কিত হয়ে পড়েছে। আমার আড়তের টাকা ব্যবসায়ীরা আমাকে দিলে ওনা (হাবিবুর রহমান হাবিব) নাকি ব্যবসায়ীদের ওপরে হামলা করবে বলে হুমকি দিচ্ছে। এমনকি যেসব ব্যবসায়ী আমার কাছে ভাড়ার টাকা জমা দিচ্ছে তারা এখানে ব্যবসা করার সুযোগ পাবেনা বলেও হুমকি দিচ্ছে। এছাড়া আরও কয়েকজন ব্যবসায়ীকে ইতোমধ্যে ওরা মারধর করেছে। এভাবে আমার জায়গায় অবস্থিত প্রতিষ্ঠান থেকে তারা নানা ভাবে চাঁদা নিচ্ছে, আগামীতেও চাঁদা নেওয়ার পাঁয়তারা করছে। এখানে প্রায় চার শতাধিক দোকান থেকে তারা প্রায় ১৫ কোটি টাকা পকেটে ঢুকিয়েছে। অথচ এক টাকাও তারা টেক্স দেয়নি।
প্রসঙ্গত, দ্বিতীয় ধাপে রূপগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোটগ্রহণ ২১ মে অনুষ্ঠিত হবে। সেখানে চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে হাবিবুর রহমান হাবিব দোয়াত কলম প্রতীকে এবং আবু হোসেন ভূইয়া রানু আনারস প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন।