নারায়ণগঞ্জ শহরের চাষাঢ়া জিয়া হলের উপরে স্থাপিত প্রয়াত রাষ্টপতি জিয়াউর রহমানের ম্যুরাল ভাঙার ঘটনায় মুখ খুলেছেন স্থানীয় সংসদ সদস্য এ কে এম শামীম ওসমান। এই ঘটনায় নিজেকে নির্দোষ দাবি করে তিনি বক্তব্য দিয়েছেন।
গতকাল বিকেলে নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাব ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। এসময় প্রেস ক্লাবের সদস্যরাসহ আরও অনেক সাংবাদিক উপস্থিত ছিলেন।
নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমান বলেছেন, ম্যুরাল ভাঙার হলে আমরা দিনেই তো ভাঙতে পারতাম। রাতে ভাঙবো কেন। টাউন হল নিয়ে জেলা প্রশাসন থেকে চিঠি দেওয়া হয়েছে ২ এপ্রিল। আর ৪ এপ্রিল সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে টাউন হল ভেঙে ফেলার। তাহলে ৩ তারিখে গিয়ে সেখান ভাঙার তো কোন প্রয়োজন দেখছি না। ওরা আসলে প্রশাসনের সেই চিঠি পেয়েছিল। এ কাজ যাতে শুরু না হয়, তাই ফন্দি এটেছে।
শামীম ওসমান আরও বলেন, আওয়ামী লীগের অনেক নেতা আছে। তারা যোগ্যতার দিক দিয়ে অনেক বড়। আমি রাস্তায় কর্মী ছিলাম, সেখান থেকে এসেছি। তাই আমাকে টার্গেট করা হয়। কিন্তু ওরা যখন আমাকে নিয়ে অপবাদ দেয়, আমি এটাই বুঝি যে আমি রাইট (সঠিক)। ওরা ইতিহাসের বিকৃতি করার চেষ্টা করছে। ওরা অশান্তি করার চেষ্টা করছে। তাদের বলবো, নারায়ণগঞ্জকে শান্ত থাকতে দেন। নারায়ণগঞ্জবাসীর ধৈর্যের সীমা ভেঙে যাচ্ছে।
এর আগে, বৃহস্পতিবার (০৪ এপ্রিল) সকালে শহরের চাষাঢ়ায় অবস্থিত জিয়া হলের সামনে জিয়াউর রহমানের ম্যুরালটি ভাঙা অবস্থায় দেখা যায়। পরে বিকেলে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির নেতারা ঘটনাস্থাল পরিদর্শন করে তীব্র নিন্দা প্রকাশ করেন। এই ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে আন্দোলন কর্মসূচি দেওয়ার আল্টিমেটাম দিয়েছে বিএনপি নেতারা। এছাড়া এই ঘটনার জন্য সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমানকে দোষারোপ করেন বিএনপির নেতারা।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি শামীম ওসমান জিয়া হল ভেঙে সেখানে ছয় দফা মঞ্চ করার প্রস্তাবনা রাখেন জাতীয় সংসদে। পরে নারায়ণগঞ্জের বেশ কয়েকটি অনুষ্ঠানেও এই হল ভেঙে নতুন করে ছয় দফা মঞ্চ, গ্যালারি, উন্মুক্ত স্থান নির্মাণ করার ঘোষণা দেন।