এবছর মাঘ আসার আগে থেকেই তীব্র শীতে কাঁপছে নারায়ণগঞ্জ। হাড় কাঁপানো শীতের সঙ্গে বেড়েছে কুয়াশার দাপটও। মেঘাচ্ছন্ন আকাশ ও তীব্র কুয়াশার ফলে বিগত কয়েকদিন ধরে দেখা মিলছে না সূর্যের। শীতের প্রকোপে ভোগান্তিতে পড়েছেন ছিন্নমূল ও নিম্নআয়ের মানুষ, যা এখন চরম আকার ধারণ করেছে। শীতজনিত রোগের প্রকোপও বেড়ে গেছে।
মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় নারায়ণগঞ্জে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এসময় বাতাসের আর্দ্রতা ৯৬ শতাংশ দেখা গেছে।
এদিকে ঘন কুয়াশা আর হিমেল বাতাসে তাপমাত্রা কমে যাওয়ায় রাস্তায় কমেছে মানুষের চলাচল। উষ্ণতার আশায় কেউ কেউ আগুন জ্বালিয়ে শরীর গরম করে নিচ্ছেন আবার কেউ ভিড় জমাচ্ছেন চায়ের দোকানে।
আরো পড়ুন: তাপমাত্রা ১৭ ডিগ্রির নিচে নামলেই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ
ঘন কুয়াশা ও শীতের কারণে দূরপাল্লার গাড়িগুলো চলাচল করছে দেরীতে। এছাড়াও শহরের পাঁচ নং খেয়াঘাট ও লঞ্চ ঘাটে গিয়ে দেখা যায় ঘন কুয়াশার কারণে দেরীতে ছেড়ে যাচ্ছে লঞ্চগুলো। কুয়াশার কারণে খেয়া পাড়াপাড় করতেও অসুবিধা হচ্ছে।
দিনের তাপমাত্রা কমে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন খেটে খাওয়া ও নিম্নআয়ের মানুষ। একদিকে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি অপরদিকে শীতের কাপড় কেনার ধাক্কা সামলাতে হচ্ছে।
এদিকে ঠান্ডা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে জেলাজুড়ে শীতজনিত রোগে আক্রান্তের হার বেড়েছে। বিশেষ করে শিশু ও বয়স্করা বেশি পরিমাণে আক্রান্ত হচ্ছেন। হাসপাতালগুলোতে ঘুরে সর্দি-জ্বর, নিউমোনিয়ার মত রোগে আক্রান্ত রোগীর চাপও বেড়েছে।
চিকিৎসকদের সাথে কথা বলে জানা যায়, শীতে অস্বাভাবিক ভাবে তাপমাত্রা কমে যাওয়ায় শীতজনিত রোগে আক্রান্তের সংখ্যা অনেক বেড়েছে। বিশেষ করে শিশু ও বয়স্করা বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন। এজন্য শিশু ও বয়স্কদের ঠান্ডা থেকে দূরে রাখাসহ সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে শিশু ও বয়স্কদের বের না হওয়াই ভালো।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য মতে চলিত সপ্তাহে নারায়ণগঞ্জসহ দেশব্যাপী স্বাভাবিক বৃষ্টি পাত হতে পারে। বৃষ্টি হলে তাপমাত্রা বাড়তে পারে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।