চলতি মৌসুমে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা আজ রেকর্ড করা হয়েছে বলে জানা গেছে। চুয়াডাঙ্গা জেলায় আজ ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। অতি তীব্র দাবদাহ চলছে দেশের বিভিন্ন জেলায়। দিনের ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তীত থাকছে বেশ কয়েকদিন ধরে। এতে অতিষ্ট জনজীবন। অনেকে তীব্র গরমে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। ‘হিট এক্সরশন’ এ মৃত্যু হয়েছে কয়েকজনের।
আবহাওয়াবিদরা বলছেন, হিট এক্সরশনের ঝুঁকি দিনের তিন ঘণ্টায় বেশি থাকে। দিনের এই সময়ে গরম বেশি অনুভুত হয়। দুপুর ১২টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত সতর্ক অবস্থায় থাকার পরামর্শও দেওয়া হয়েছে।
২ মে থেকে ঢাকাসহ ৪ বিভাগে বৃষ্টির আভাস, কমবে দাবদাহ২ মে থেকে ঢাকাসহ ৪ বিভাগে বৃষ্টির আভাস, কমবে দাবদাহ
গরমে মানুষের মৃত্যু ও অসুস্থ হয়ে পড়ার জন্য কারণ হিসেবে অধিকাংশ সময়ই বলা হচ্ছে ‘হিট স্ট্রোক’। রাস্তাঘাটে যে কেউ অসুস্থ বা অচেতন হয়ে পড়লে এবং হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা গেলে বলা হচ্ছে হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়েছিল। তবে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ও গবেষকরা এই ‘হিট স্ট্রোক’ শব্দের ব্যাপারে সতর্ক করে দিয়েছেন।
সোমবার (২৯ এপ্রিল) আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ তরিফুল নেওয়াজ কবির বলেন, দিনে ও রাতে ভিন্ন তাপমাত্রায় মানুষ অস্বস্তি অনুভব করেন। দিনের বেলা সূর্য যখন মাথার ওপর কিরণ দেয় অর্থাৎ দুপুর ১২টা থেকে ৩টা পর্যন্ত বেশি গরম অনুভূত হয়। অন্যদিকে রাতের বেলা কোনো এলাকায় যদি তাপমাত্রা ২৭ ডিগ্রির বেশি হয় তবে মানুষ অস্বস্তি অনুভব করে।
দুপুর ১২টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত তীব্র রোদ থেকে দূরে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। অতি প্রয়োজন ছাড়া এই সময়ে বাইরে না থাকতে বলা হয়েছে। বাইরে বের হলে অবশ্যই ছাতা ব্যবহার, টুপি, ক্যাপ ব্যবহার, মাঠে কাজ করতে ‘মাথাল’ জাতীয় টুপি ব্যবহারের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
এদিকে আবহাওয়া অধিদপ্তর এক পূর্বাভাসে জানিয়েছে, গতকাল দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল যশোরে ৪২.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ ছাড়া সর্বোচ্চ তাপমাত্রার মধ্যে রাজশাহীতে ৪২.০, ঈশ্বরদীতে ৪১.৫, সাতক্ষীরায় ৪১.১, মোংলায় ৪১.০, কুমারখালীতে ৪০.৮, ফরিদপুর ও গোপালগঞ্জে ৪০.৬, টাঙ্গাইলে ৪০.৩, সৈয়দপুরে ৪০.২, খুলনা ও বদলগাছীতে ৪০.০ ডিগ্রি তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।