নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী বলেন, নদী দূষণে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন কিছুটা দায়ী। কারণ আমাদের যত বর্জ্য আছে তা ড্রেনের মাধ্যমে নদীতে ফেলা হয়। আমরাই সবার আগে প্রস্তাব দিয়েছি ইটিপির মাধ্যমে পানি নদীতে ফেলতে চাই। কিন্তু এর জন্য অর্থ দরকার, সেই ফান্ড কেউ দিচ্ছে না আমাদের।
মঙ্গলবার (৯ জুলাই) দুপুরে ‘নদীতে শিল্পদূষণ রোধে করণীয়’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। নারায়ণগঞ্জ শহরের আলী আহাম্মদ চুনকা নগর পাঠাগার মিলনায়তনে এ সভা হয়।
আইভী বলেন, হাইকোর্টের রায় আছে নদীর তীরবর্তী জায়গা স্থানীয় সিটি করপোরেশন বা পৌরসভাকে দিতে হবে। সেখানে সবুজায়ন, খেলার মাঠ হবে। আমরা নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়কে চিঠি দিয়েছিলাম জায়গার জন্য। মন্ত্রণালয় বিআইডব্লিউটিএকে নির্দেশনা দিলেও সেই জায়গা আমাদের দেওয়া হয়নি। বাধ্য হয়ে সেই জায়গা দখল করেছি আমরা।
তিনি আরও বলেন, আমরা যারা মেয়র নির্বাচিত হয়ে এসেছি, তাদের আসলে ক্ষমতা খুবই সামান্য। চাইলেও অনেক কিছু করতে পারি না। ২০০৯ সালে নারায়ণগঞ্জের চিত্তরঞ্জন পুকুর রক্ষার জন্য বেলার (বাংলাদেশ এনভায়রনমেন্টাল লইয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন) শরণাপন্ন হয়েছিলাম। তাদের মাধ্যমে রায় পেয়ে সেই পুকুরটি রক্ষা করতে পেরেছি।
বেলা’র প্রধান নির্বাহী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, কারখানার দূষণের বিষয়গুলো সরকার অবগত। কিন্তু কোন প্রক্রিয়ায় এই দূষণ রোধ করা সম্ভব এবং কীভাবে তা করতে হবে সে বিষয়ে সরকারকে সহযোগিতা করার পাশাপাশি ভূমিকা রাখতে হবে।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জাকির হোসেন, নদী রক্ষা কমিশনের সহকারী প্রধান (পরিবেশ) সাকিব মাহমুদ, পরিবেশ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ফেরদৌস আনোয়ার ও এলআরডির নির্বাহী পরিচালক শামসুল হুদা সহ বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা।