বিশ্ব ভালোবাসা দিবস ও সোনারগাঁয়ে মাসব্যাপী লোককারুশিল্প মেলায় শেষ দিনে দর্শনার্থীদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে ওঠে মেলা প্রাঙ্গণ। বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারী) ভালোবাসা দিবস হওয়ায় এ দিনে তরুণ-তরুণীদের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মত। মেলায় আগত দর্শনার্থীরা ঐতিহাসিক পানাম নগরীতেও ভিড় জমিয়েছেন।
এর আগে, গত ১৬ জানুয়ারি থেকে মাসব্যাপী লোক কারুশিল্প মেলা শুরু হয়।
সন্ধ্যায় মেলার সমাপনী অনুষ্ঠানে ফাউন্ডেশনের পরিচালক মো. সাইফুল ইসলাম মেলার সমাপনী ঘোষনা করেন। অনুষ্ঠানে মেলায় বিশেষ প্রর্দশনীর ৬৪ জন কারুশিল্পী, সাজসজ্জায় ৩ জন ও পুুতুল নাচ, বায়োস্কোপকে সম্মাননা স্মারক, প্রণোদনা ও ক্রেষ্ট প্রদান করা হয়।
মাসব্যাপী আয়োজিত এ লোক কারুশিল্প মেলায় কর্মরত কারুশিল্পী প্রদর্শনী, লোকজ প্রদর্শনী, পুতুল নাচ, বায়োস্কোপ, নাগরদোলা, গ্রামীণ খেলাসহ বাহারী পণ্য সামগ্রীর প্রদর্শনের ব্যবস্থা ছিল। মাসব্যাপী উৎসবে প্রতিদিন লোকজ মঞ্চে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, স্থানীয় স্কুলের ছেলে মেয়েদের পরিবেশনায় বিলুপ্ত প্রায় গ্রামীণখেলা, পুতুল নাচ, কর্মরত কারুশিল্পীর করুপন্যের প্রর্শনীসহ নানা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
ফাউন্ডেশন সূত্র জানান, এবারের মেলায় বিশেষ প্রদর্শনীতে ৩২টি ষ্টলে বাংলাদেশের ১৭ জেলার প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে ৬৪ কারুশিল্পী দেশের হারানো ঐতিহ্যকে আবার নতুন করে আবিস্কার করছে। প্রদর্শনীর গ্যালারীগুলো কারুশিল্পীরা তাদের স্বহস্তে তৈরি করেছেন মৌলভীবাজার ও ঝালকাঠীর শীতল পাটি, মাগুরার শোলাশিল্প, রাজশাহীর শখের হাঁড়ি ও মাটির পুতুল, রংপুরের শতরঞ্জি, টাঙ্গাইল ও ঠাকুরগাঁয়ের বাঁশ বেতের কারুশিল্প, সোনারগাঁওয়ের ঐতিহ্যবাহী জামদানি, কাঠের চিত্রিত হাতি- ঘোড়া পুতুল, একতারা, বন্দরের রিকশা পেইটিং, কুমিল্লার তামা-কাঁসা-পিতলের কারুশিল্প, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবানের ক্ষুদ্র-নৃ-গোষ্ঠীর কারুশিল্প, কিশোরগঞ্জের টেরাকোটা পুতুল, বগুড়ার লোকজ খেলনা ও কুমিল্লার লোকজ বাদ্যযন্ত্রের শিল্পসহ ইত্যাদি কারুপন্য।
মেলার শেষ দিনে বুধবার সন্ধ্যায় ফাউন্ডেশনের লোকজ ময়ুরপঙ্খী মঞ্চে শিল্পীরা জাকজমকপূর্ণ নানা অনুষ্ঠান পরিবেশন করেন। মেলায় আগত দর্শকরা অনুষ্ঠান উপভোগ করেন।