নারায়ণগঞ্জ বন্দরে ব্যবসায়ী মনিরুজ্জামান মনুকে প্রকাশ্যে হত্যার প্রতিবাদে ও খুনীদের গ্রেপ্তারসহ ফাঁসির দাবিতে মুরাদপুর এলাকার শত শত নারী পুরুষ মানুষ মানববন্ধন শেষে নিহতের স্ত্রী সাংবাদিক সম্মেলন করেছে। বুধবার (২৬ জুন) দুপুরে বন্দর প্রেসক্লাবের সামনে প্রথমে মানববন্ধন ও পরে সাংবাদিক সম্মেলন করে। এ সময় নিহত মনুর শিশু কন্যা, বোনেরা সহ এলাকার শত শত নারী-পুরুষ উপস্থিত ছিলেন। সকলে হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেফতার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন। কান্না জড়িত কন্ঠে নিগত মনুন স্ত্রী সাবিনা ইয়াসমীন বলেন, আমি সব হারিয়েছি। আমার সন্তানদের দেখার কেউ নেই। আমাদের পরিবারের একে একে ৭জনকে খুন করেছে খুনী মিঠু, ফারুক, মনিরগংরা। মানবতার কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যেমন তার বাবা-মাসহ পরিবারের সবাইকে হারিয়েছেন। আমিও আমার স্বামীকে হারিয়ে দুটি সন্তানকে নিয়ে গভীর সাগরে যেন হাবুডুবু খাচ্ছি। ঘাতকরা বঙ্গবন্ধুকে যে ভাবে হত্যো করেছে সে রকমই পর্যায়ক্রমে আমার স্বামীর পরিবারের সবাইকে হত্যা করেছে। এই সন্ত্রাসীদের ভয়ে মনিরুজ্জামান মনু তার নিজ এলাকা মুরাদপুরে বসবাস করতেন না। তিনি আমাকে ও আমার সন্তানদের নিয়ে কাপাশিয়া বসবাস করতেন। ঘাতকরা আমার স্বামীকে বাঁচতে দিলোনা। তাকে প্রকাশ্যে আমাদের চোখের সামনে নির্মম ভাবে হত্যা করলো। এই শোক ভুলতে পারছিনা। ঘাতরকরা শুধু আমার স্বামীকে নয় আমার শ্বশুর কামাল উদ্দিন, আমার শ্বাশুরী ফুলমতি, আমার দুই ভাশুর নূরা ও বাবুল, আমার ননাস নিলুফা সহ আরো অনেককে খুন করেছে। এই ঘাতকদের কি বিচার হবেনা? ঘাতকরা আমার স্বামীকে প্রকাশ্যে খুন করে এখন আমাদের হুমকি দিচ্ছে। আমরা অনেক ভয়ে আছি। আমি আমার সন্তানদের নিয়ে বেঁচে থাকতে চাই। আমি প্রধানমন্ত্রীর কাছে এ হত্যার বিচার চাই। মানবতার মা শেখ হাসিনার কাছে আমাদের আকুল আবেদন দ্রুত ঘাতক মিঠুগং দের গ্রেফতার করে ফাঁসি ব্যবস্থা করেন। উল্লেখ্য: ২০০৩ সালে নিহত মনুর দুই ভাই ও বোনকে প্রকাশ্যে খুন করে এই খুনী চক্র। যার মামলা নং ৩২(৪)০৩, ৪(১০)০৩। খুনিরা আমাদের পরিবারের সবাইকে খুন করেও ক্ষান্ত হয়নি। তারা মদনপুরের আন্দিপাড়ে সোহেলকে খুন করে। যার মামলানং ৮(৪)২১। আমার সন্তানেরা আজ পিতা হারা। আপনাদের মাধ্যমে প্রশাসনের কাছে দাবি রাখছি খুনীদের দ্রুত গ্রেফতার করুন। আমাদের রক্ষা করুন। আমাদের বাঁচান। এসময় নিহত মনুর স্ত্রী ও বোনসহ আত্বিয়দের কান্নায় বাতাস ভারি হয়ে উঠে।