নারায়ণগঞ্জ- ১(রূপগঞ্জ) আসনের নৌকার প্রার্থী বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজীর অভিযোগ তুলেছেন, তৃনমূল বিএনপির প্রার্থী তৈমূর আলম খদন্দকার ভূমিদস্যুদের পুতুল প্রাথী হয়ে মাঠে নেমেছেন। এমন অভিযোগের প্রেক্ষিতে তৃনমূল বিএনপির মহাসচিব ও তৃনমূণ বিএনপির প্রার্থী তৈমূর আলম খন্দকার বলেছে, আমার প্রতিদ্বন্ধী প্রার্থী মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী সে নিজেই একজন ভূমিদস্যু এবং সে ভূমিদস্যূদের প্রশয়দাতা।
একজন এমপি মন্ত্রী তিনি যদি ভ’মিদস্যুদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিত তাহলে রূপগঞ্জে মানুষের জমিজমা বেদখল হতো না। আমার নানা মসজিদ ও মাদ্রাসার জায়গা দিয়ে গিয়েছিল। সেই জায়গা গজী সাব বালু দিয়ে ভরাট করে দখল করেছেন। আমার চাচাতো ভাই জুয়েল। আমরা জমি বিক্রি করনি । সে জায়গাও গাজী রেজিস্ট্রি করে মিউটেশন করে ফেলছে। এরপর আমি রুখে দাড়ালাম। গাজী তখন আমাকে বলে, “আমি এটা হাসপাতাল করার জন্য যমুনা ব্যাংকে দিয়ে দিয়েছি। আমি যাতে যুমনা ব্যাংকে দরখাস্ত দেই। আমি বলেছি, “আমি যুমনা ব্যংকে দরখাস্ত দেব না। দিলে প্রধানমন্ত্রীর কাছে দেব এবং প্রধানমন্ত্রীর কাছে দেয়া দরখাস্তের কপি সব জায়গাায় জমা দেব। এরপর গাজী আমার ওই জায়গা ফেরত দিয়েছে।
গতকাল বুধবার দুপুর আড়াইটায় রূপগঞ্জের চনপাড়া নোয়াপাড়া এলাকায় নির্বাচনী প্রচারণায় নেমে গণমাধ্যম কর্মীদের নানা প্রশ্নের জাবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
গণমাধ্যম কর্মীদের প্রশ্নের জবাবে তিনি আরও বলেন, আমি কোন ভ’মিদসূদের পুতুল প্রার্থী বা ইনভেস্ট নিয়ে মাঠে নামিনি। আমি তো উল্টো ভূমিদস্যূদের বিরুদ্ধে মাঠে নেমেছি। রূপগঞ্জে আমি শ্মশানের জায়গা উদ্ধার করেছি। রূপগঞ্জে যে ভূমিদস্যূতা হচ্ছে তার তার বিরুদ্ধে এমপি গাজী রুখে দাড়ায়নি। বরং ভূমিদস্যুদের সহযোগি হিসাবে কাজ করেছেন গাজী। আর আমি তৈমূর আলম খন্দকার একমাত্র ব্যক্তি যে ভূমিদস্যুদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছি। মিটিং মিছিল, ডিসি অফিস ঘেরাও করেছি। ঢাকা প্রেস ক্বাব, নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাবে মানববন্ধন করেছি। কোর্টে রীট করেছি। আমি পিছপা হয়নি। এ জন্য আমাকে অনেক নিগৃহীত হতে হয়েছে। তখন আওয়ামীলীগ বা বিএনপি কোন নেতার কো সহযোগিতা পাইনি। এ নিয়ে আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হয়েছে তা মোকাবেলা করে আমি জয়ী হয়েছি।