১১টি গ্রাম নিয়ে গঠিত হয়েছে ইউনিয়ন। ১ লাখ ১৭ হাজার মানুষের বসবাস রয়েছে। আছে স্কুল, কলেজসহ শত শত প্রতিষ্ঠান। অথচ, ইউনিয়ন পরিষদের নেতৃত্বে গত ৩১ বছরে মাত্র ৯ মাস চেয়ারম্যান পেয়েছে বাসিন্দারা। এখন আবারও পরিষদের চেয়ারম্যান পদটিতে ভারপ্রাপ্ত হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
এই চিত্র শিল্প নগরী নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা ইউনিয়ন পরিষদের। এতে এই অঞ্চলের মানুষ দীর্ঘ দিন যাবত অবহেলিত হয়ে আসছে। বঞ্চিত হচ্ছে বিভিন্ন নাগরিক সেবা থেকে।
১৯৯২ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি ফতুল্লা ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। ওই নির্বাচনে জয়ী চেয়ারম্যান বহু আগেই মারা গেছেন। মারা গিয়েছিল পাঁচ সদস্যও (মেম্বার)। সংরক্ষিত আসনের এক নারী সদস্য স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করে চলে গিয়েছে অনেক আগেই। লুৎফর রহমান স্বপন নামে একজন সাধারণ সদস্য দীর্ঘদিন ইউনিয়নটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্বে ছিলেন।
১৯৯৬ সালে ফতুল্লা ইউনিয়নের নির্বাচন ঠেকাতে ‘সীমানা সংক্রান্ত জটিলতা’ দেখিয়ে মামলা করে কুতুবআইল এলাকার বাসিন্দা কদর আলী। এ ছাড়া এই ইউনিয়নকে ঘিরে ২০০২ সালে হানিফ মাতবর নামে এলাকার আরও এক ব্যক্তি হাইকোর্টে রিট পিটিশন করেন। ২০০৬ সালে মামলাটি খারিজ করে দেন আদালত। তবে উচ্চ আদালতে রিট পিটিশন চলমান থাকায় ফতুল্লা ইউনিয়নে নির্বাচন করা সম্ভব হয়নি। অবশেষে সম্প্রতি রিট পিটিশন মামলাটিও খারিজ করা হলে ২০২১ সালের ২৬ ডিসেম্বর ৩ দশমিক ৬১ বর্গমাইল আয়তনের ইউনিয়নটির মানুষ নতুন করে অভিভাবক বানান ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান লুৎফর রহমান স্বপনকে।
মাত্র ৯ মাস চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করে স্বপন হৃদ ক্রিয়া বন্ধ হয়ে ২০২৩ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর মৃত্যু বরণ করেন।
খন্দকার লুৎফর রহমান স্বপনের মৃত্যুর পর ২৪ সেপ্টেম্বর ফতুল্লা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পদটিকে শূন্য ঘোষণা করেন নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রিফাত ফেরদৌস।
এরপর সেই পরিষদের এক সদস্যকে আবারও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, আশপাশের ইউনিয়নে ব্যাপক উন্নয়ন হলেও ফতুল্লা ইউনিয়নে চেয়ারম্যান না থাকায় অনেক সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয়েছে মানুষ।